গতকাল রোববার হয়ে গেল ত্বকের যত্ন নিয়ে কাজ করা ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে পাওয়ার রিয়েলিটি শো ‘পন্ডস স্কিনফ্লুয়েন্সার’–এর গ্র্যান্ড ফিনালে। অনুষ্ঠান আয়োজকদের তথ্যমতে, প্রায় ছয় মাসের এই যাত্রায় ১৪ হাজারের বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের প্রথম পন্ডস স্কিনফ্লুয়েন্সার হলেন সৈয়দা জোবায়দা শিরিন। প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন নাঈমা ইসলাম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ ফারজানা ফেরদৌসী।
পন্ডস স্কিনফ্লুয়েন্সার জোবায়দা আগামী ১ বছর কাজ করবেন বৈশ্বিক ব্র্যান্ড পন্ডস বাংলাদেশের নতুন মুখ হিসেবে। সঙ্গে পাচ্ছেন চীনের সাংহাইয়ে পন্ডস স্কিন ইনস্টিটিউট ঘুরে আসার সুযোগ। যেখানে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ত্বকের যত্নের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নেবেন তিনি। গতকাল গ্র্যান্ড ফিনালেতে জোবায়দার হাতে সনদ এবং বিমানের টিকিট তুলে দেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর ও বিজনেস ইউনিট হেড জাহীন ইসলাম।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে উপস্থিত ছিলেন দেশের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সাররা। ফিনালে শুরু হয় পুরো আয়োজনে ‘হাউজলিড’ হিসেবে থাকা ইশরাত, ঈশায়া ও সুনেহরার নাচ দিয়ে। তাঁদের সঙ্গে অংশ নেন শীর্ষ ১২ স্কিনফ্লুয়েন্সার। গ্র্যান্ড ফিনালের পুরো এপিসোড দেখা যাবে পন্ডস বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেল।
বাংলাদেশের প্রথম পন্ডস স্কিনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে জোবায়দা বলেন, ‘এই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। পন্ডস বাংলাদেশকে অনেক ধন্যবাদ এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। পন্ডসের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আমি রোমাঞ্চিত। ত্বকের যত্ন নিয়ে আমার যে আগ্রহ আছে, সেটি দর্শকের কাছে এখন থেকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারব।’
১৮৪৬ সাল থেকে ত্বকের যত্নে বিশেষজ্ঞ ব্র্যান্ড হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত পন্ডস। এ বছর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ত্বকের যত্ন নিয়ে আগ্রহী ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে পেতে অনুষ্ঠিত হয় পন্ডস স্কিনফ্লুয়েন্সার।
১৪ হাজারের বেশি নিবন্ধিত প্রতিযোগীর মধ্য থেকে পন্ডস খুঁজে নেয় ১২০ জনকে। এরপর তাঁদের দেওয়া হয় এক মাসের ‘কনটেন্ট ক্রিয়েশন চ্যালেঞ্জ’। সেখান থেকেই সেরা ১২ জনকে নিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম স্কিনকেয়ার ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে পাওয়ার রিয়েলিটি শো। পুরো শোতে হাউজলিড হিসেবে তাঁদের গ্রুম করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন জনপ্রিয় তিন ইনফ্লুয়েন্সার—সুনেহরা তাসনিম, ইশরাত জাহীন আহম্মেদ ও ঈশায়া তাহসীন। তাঁদের দেওয়া চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করে প্রতিযোগীরা আসেন চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত। পুরো যাত্রায় ১২ জনের কনটেন্টে দর্শকের অংশগ্রহণ, সৃজনশীলতা এবং অনন্য দিকগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন তিন হাউজলিড এবং তাঁদের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই পন্ডস স্কিনফ্লুয়েন্সার হলেন সৈয়দা জোবায়দা শিরিন।