রূপচর্চার উপকরণ বোতলজাত হয়ে যখন দোকানে বিক্রির রেওয়াজ ছিল না, সৌন্দর্যচর্চা তখনো হতো। গোলাপজলের আগে ছিল গোলাপের পাপড়ি। এরপর গোলাপ পাপড়ির নির্যাস বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। কখনো ত্বক পরিষ্কার করতে, কখনো ত্বক সতেজ রাখতে। গোলাপজল শুধু ত্বককেই নয়, চুলকেও করতে পারে ঝলমলে।
আয়ুর্বেদ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন ‘গোলাপজল আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে রাখে সতেজ। পাশাপাশি ত্বককে করে উজ্জ্বল ও দাগহীন।’ তিনি যেকোনো ফেসপ্যাকের সঙ্গে গোলাপজল ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
ফেসপ্যাকে
চন্দন, মুলতানি মাটি, যষ্টিমধু আর পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ফেসপ্যাকের জন্য ব্যবহৃত যেকোনো উপকরণের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল ব্যবহার করা যাবে।
টোনার হিসেবে
গোলাপজল খুব ভালো প্রাকৃতিক টোনার। মুখের ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এবার তুলার বলে সামান্য গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখে লাগান।
মেকআপ ওঠাতে
সামান্য গোলাপজল আর জলপাই কিংবা নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে মালিশ করুন। তুলা বা নরম সুতি কাপড় দিয়ে এবার মুখ মুছে নিন। মুখের মেকআপের পাশাপাশি সব ধরনের ময়লাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ময়েশ্চারাইজারে
গোলাপজল, গ্লিসারিন ও জলপাইয়ের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে নিতে পারেন। এটি চেহারায় বয়সের ছাপ রোধেও কাজ করবে। পাশাপাশি আপনার ত্বককে বেশ লম্বা সময় ধরে আর্দ্র রাখবে। বিশেষ করে শীতকালে এটি খুব কার্যকর। হাত ও পায়েও এটি ব্যবহার করা যাবে।
চুলের যত্নে
গোলাপজল চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলে কন্ডিশনারের কাজও করে। এটি মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে।
সুগন্ধি হিসেবে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে গোলাপজলের সুগন্ধি আপনার মনকে খুব অল্প সময়ে সতেজ করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মানসিক প্রশান্তির জন্য অনেক সময় গোলাপজলের সুগন্ধি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।