পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। মাথায় পেঁয়াজের রস দিলে চুলের ফলিকলে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। চুল হয় আরও মজবুত।অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী
মাথার তালুতে অ্যালোভেরা জেল লাগান। এতে চুল দ্রুত বাড়বে। চুল পড়ার জন্য দায়ী প্রদাহ দূর হবে।নারকেল তেল
কুসুম গরম নারকেল তেল মাথার তালুতে মাসাজ করুন। নারকেল তেল চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। চুলের গোড়া মজবুত করে। হেয়ার ফলিকল বা চুল গুটিকা হলো ত্বকের ডার্মাল স্তরে অবস্থিত একটি অঙ্গ, যা চুলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।ডিম
ডিমে আছে প্রোটিন ও বায়োটিন। এসব চুলের জন্য খুবই দরকারী। ডিমের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ, যেমন টকদই, অলিভ অয়েল ইত্যাদি মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। চুল হবে আরও মজবুত।টক দই
টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। টক দইয়ের হেয়ার মাস্ক চুলে লাগালে চুল মজবুত হয়। মাথার তালুর সুস্থতা বজায় রাখতেও টক দই কার্যকর।মেথি
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পরিমাণমতো মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেসব বেটে পেস্ট তৈরি করে মাথায় লাগান। এতে চুল পড়া কমে যাবে, চুলের বৃদ্ধি হবে ত্বরান্বিত।গ্রিন–টি
গ্রিন–টি ঠান্ডা করে মাথার তালুতে লাগালে চুল পড়া কমে যায়। গ্রিন–টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। ডিএইচটি নামের একটি হরমোন চুল পড়ার জন্য সরাসরি দায়ী। গ্রিন–টি এই ডিএইচটি নামের হরমোনকে বাধাগ্রস্ত করে।ক্যাস্টর অয়েল
মাথার তালুতে ক্যাস্টর অয়েল লাগালে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। চুল পড়া হ্রাস পায়। তবে ক্যাস্টর অয়েল অত্যন্ত ঘন ও চটচটে। ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।জবা
জবা ফুলের পাপড়ি ও পাতার পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে লাগান। এতে চুল দ্রুত বাড়বে, চুল আরও মজবুত হবে।আমলকী
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। আমলকীর পুষ্টিউপাদানগুলো চুলের ফলিকলকে মজবুত করে, চুল পড়া কমায়। আমলকী খাওয়ার পাশাপাশি আমলকীর তেল চুলে ব্যবহার করা কিংবা আমলকীর রস মাথায় লাগানো খুব উপকারী। চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রেও আমলকী সহায়ক।টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে আলিয়া রিফাত