জাপানের সবচেয়ে বড় কসমেটিকস ব্র্যান্ডের নাম সিসেইডো। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই বিউটি ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার তামান্না ভাটিয়া
এখনো দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার হিট গান ‘কাভালিয়া’ জ্বর থামেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো ভেসে উঠছে নতুন নতুন রিলস। এর মধ্যেই আরেকটি খবর দিলেন এই তারকাজাপানের সবচেয়ে বড় কসমেটিকস ব্র্যান্ডের নাম সিসেইডো। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই বিউটি ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হলেন তামান্নাসিসেইডো ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বহু পুরোনো এই প্রতিষ্ঠান নির্ভরযোগ্য লাক্সারি ব্র্যান্ড হিসেবে নাম কুড়িয়েছে। এর অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে যারপরনাই খুশি তামান্নাবিজনেস টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামান্না এই পার্টনারশিপের বিষয়ে বলেন, ‘আমি সম্মানিত, খুবই রোমাঞ্চিত। এক শতকের বেশি সময় ধরে এটি সৌন্দর্যের নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছে। সময়, চাহিদা, আবহাওয়া বুঝে প্রতিনিয়ত নতুন পরীক্ষা–নিরীক্ষা আর উদ্ভাবনই সিসোইডোর এই সাফল্যের রহস্য।’ইনস্টাগ্রামে ২ কোটি ৩৭ লাখ ভক্তকে তামান্না ভাটিয়া আরও জানান, সিসেইডো প্রত্যেক মানুষের অনন্য সৌন্দর্যকে উদ্যাপন করে। সিসেইডো ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিউটি টিপসও দিয়ে থাকে। তামান্না ভাটিয়ার কাছে সৌন্দর্য মানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের ভেতরের শক্তি আর অনন্যতাকে উদ্যাপন করা। আর ত্বকের সেরা রূপটি বের করে আনাই নাকি এই বিউটি ব্র্যান্ডের মূল কথা। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দক্ষিণ ভারতের নায়িকাদের মধ্যে তামান্না ভাটিয়ার ত্বক স্বাভাবিকভাবেই খুব সুন্দর। যেকোনো মেকআপে সহজেই মানিয়ে যায় তাঁকে। পেশাগত প্রয়োজনে এত মেকআপ ব্যবহারের পরেও তাঁর ত্বক হারায়নি স্বাভাবিকতা। মেকআপ ছাড়াও দিব্যি চলে! অন্যদিকে বলিউডে সবচেয়ে সুন্দর ত্বক কারিনা কাপুর আর আলিয়া ভাটেরতামান্না মনে করেন, তাঁর সফলতা কেবল তাঁর একার নয়, তাঁর ভক্তরাও এর অংশীদার। পাশের বাড়ির সাধারণ মেয়ে থেকে ১৮ বছর ধরে বড় পর্দায় নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা, প্রতিনিয়ত নিজের সীমানা পেরিয়ে আরও উঁচুতে যাওয়া সম্ভব হয়েছে কেবল তাঁর ভক্তদের কারণেই