প্রখ্যাত মার্কিন হেয়ার স্টাইলিস্ট টেড গিবসন বলেন, ‘ভেজা চুল বেশি দুর্বল থাকে। এ কারণে গোসলের ঠিক পরেই ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে চুলের ক্ষতি হতে পারে। ভেজা অবস্থায় বিছানার সঙ্গে চুলের ঘর্ষণে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই রাতে গোসল করলেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার চুল শুকিয়েছে।’
টেড গিবসনের মতে, চুলে ঝুঁটি বেঁধে বা ওপরের দিকে চুল বেঁধে ঘুমালে চুলের ক্ষতি হয়। প্রতি রাতে মাথার ঠিক একই জায়গায় চুল বেঁধে রাখলে চুলের গোড়া ভেঙে যায়। তবে চুল ছেড়ে ঘুমাতে না চাইলে বেণি করে রাখতে পারেন। এতে চুল ভালো থাকবে।
সাধারণত চুল উঁচু বা ওপরের দিকে বাঁধতে চাইলে রাবার ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু রাবার ব্যবহার চুলের জন্য ক্ষতিকর। ভেজা অবস্থায় চুলে রাবার বাঁধা আরও ক্ষতিকর। কারণ, ভেজা চুলে রাবার বাঁধলে চুলে ভাঁজ পড়ে। এতে মাথার সব চুলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ানো ভালো অভ্যাস। কারণ, আমাদের চুলের ঘর্মগ্রন্থি প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন করে। মাথায় চিরুনি চালালে এই তেল সবখানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে চুল বাড়ে দ্রুত। পাশাপাশি মাথায় চিরুনি চালানো আরামদায়ক বলে ঘুম ভালো হয়। গিবসনের মতে, ভালো ঘুম ভালো চুল পাওয়ার অন্যতম শর্ত। তবে আরও একটা কথা জানিয়ে রাখা দরকার, বারবার চুল আঁচড়ানো কিন্তু ক্ষতিকর। কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। বেশি বেশি চুল আঁচড়ালে চুলের তৈলাক্ত পদার্থ যথেষ্ট পরিমাণে ছড়ায় না। ফলে চুল হারায় ঔজ্জ্বল্য এবং হয়ে পড়ে রুক্ষ।
সকালে শ্যাম্পু করলে রাতে চুলে এমন কিছু ব্যবহার করুন, যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। রাতে ব্যবহৃত উপাদানটি সকালে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। নারকেল তেল ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন তাঁরা। এতে প্রায় ৮ ঘণ্টা চুলের আর্দ্রতা অটুট থাকবে। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট