ম্যাজিক্যাল মেরুলা অয়েল: তারুণ্যদীপ্ত সুস্থ ত্বক ও চুলের যত্নে অনন্য সমাধান

এই ফল থেকে তৈরি হয় মেরুলা অয়েল
এই ফল থেকে তৈরি হয় মেরুলা অয়েল

অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল, আরগান অয়েল, আমন্ড অয়েল—এই তেলগুলোর কথা আপনি হয়তো অহরহই শুনেছেন। সৌন্দর্যচর্চায় এগুলোর ব্যবহার অনেক। আপনি নিজেও হয়তো এগুলো ব্যবহার করেন। কিন্তু মেরুলা অয়েলের কথা কখনো শুনেছেন?
মেরুলা আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের গাছ। এই গাছের ফল থেকেই আসে মেরুলা অয়েল। ত্বক, চুলের যত্ন আর অন্যান্য ঔষধি গুণাগুণের কারণে এই তেল ‘মিরাকেল অয়েল’ হিসেবে পরিচিত। এর ব্যবহারও অনেক পুরোনো। ১০০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেও মেরুলা অয়েল ব্যবহারের ইতিহাস মেলে। হাজার বছর ধরে আফ্রিকার জুলু ও সোঙ্গা নারীরা ত্বকের যত্নে এই তেল ব্যবহার করে আসছেন। তা ছাড়া আফ্রিকার পুরাণেও এই গাছের আধ্যাত্মিক ভূমিকার উল্লেখ পাওয়া যায়।

ইতিহাস রেখে মেরুলা অয়েলের গুণ সম্পর্কে বলা যাক। মেরুলা অয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই এটি ত্বক ও চুলের যত্নে খুবই কার্যকর। মেরুলা অয়েল ত্বক আর্দ্র রাখে, বলিরেখা দূর করে, তারুণ্য ফিরিয়ে আনে এবং চুল করে কোমল-সিল্কি।

মেরুলা আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের গাছ


মেরুলা অয়েল একটি দারুণ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। তাই মেরুলা অয়েল ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং দ্রুত মেরামতে সাহায্য করে। মেরুলা অয়েল হালকা এবং এর মধ্যে নন-গ্রিজি টেক্সচার আছে। তাই এটি সব ধরনের ত্বকেই ব্যবহার করা যায়।
মেরুলা অয়েল ব্যবহার করা খুব জটিল কোনো বিষয় নয়। তারুণ্যদীপ্ত, উজ্জ্বল ও সুস্থ ত্বকের জন্য প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা মেরুলা অয়েল মুখ, ঘাড়, হাত ও যেখানে বাড়তি ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন, সেখানে ব্যবহার করুন। ডার্ক সার্কেল ও বলিরেখা দূর করতে চোখের নিচে ১/২ ফোঁটা মেরুলা অয়েল প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাবেন। চুলের ক্ষেত্রে হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা মেরুলা অয়েল ঘষে পরিষ্কার ও ভেজা চুলে ব্যবহার করতে পারেন।