মন বেশ খারাপ হয়ে আছে, তাই না? ভাবছেন আবার কবেই-বা ফিরতে পারব স্বাভাবিক জীবনে। এই ভাবনাতেই কেটে যাচ্ছে হয়তো একেকটি দিন। একদিন সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাবে, দূর হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতি। কিন্তুই এরই মধ্যে যে মানসিক বিপর্যয় সবাইকে ঘিরে ধরেছে, সেটি কাটিয়ে ওঠা খুব জরুরি। কারণ, এখন মনোবল শক্ত না হলে এর প্রভাব পড়বে শরীরে। তাই মনকে চাঙা রাখা এই সময়ে একান্ত প্রয়োজন।
নিজেকে পরিপাটিভাবে সাজিয়ে রাখা হতে পারে মন ভালো রাখার একটি উপায়, এমনটাই মনে করেন রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। এই সাজগোছ মানে যে নিজেকে জমকালোভাবে সাজাতে হবে, তা নয়। অনেকেই ভাবছেন, বাসা থেকেই তো বের হচ্ছি না, নিজেকে এখন আর পরিপাটি রাখার কী প্রয়োজন? এমন নয় যে বাইরের কেউ আসছে বাসায়।
হ্যাঁ, ঠিকই আমরা কোথাও যাচ্ছি না বা কেউ আসছেও না আমাদের বাসায়, তাই বলে একটু সাজগোছ করলে ক্ষতি তো নেই। এতে আপনার মন ভালো হয়ে উঠবে, আবার ক্ষণিকের জন্য হলেও বাড়ির অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছুঁয়ে দেবে ভালো লাগার পরশ। বাড়িতে যে পোশাক পরে আছেন, তার সঙ্গেই তো পরিপাটি করে চুল বেঁধে নেওয়া যেতে পারে। আপনি হয়তো সব সময় চুল ছেড়ে রাখেন, সেটাতেই না হয় একটু বদল আনুন। বিনুনিতে বেঁধে নিলেন চুল। আবার কখনো হয়তো খোঁপায় বাঁধা পড়েনি চুল, এই সময় না হয় সেটাই করলেন।
সব সময় চোখে কাজল পরতে ভালোবাসেন, বাইরে যাচ্ছেন না বলে কি বাদ পড়বে সেই ইচ্ছাটুকু। গোসল করে দুই চোখে একটু কাজলের রেখা টেনে দিয়েই দেখুন না, কেমন স্নিগ্ধতার পরশ ছুঁয়ে দেবে আপনার মন।
লিপস্টিকগুলো হয়তো অনেক দিন ছুঁয়েই দেখা হয় না, পড়ে আছে সেই একই জায়গায়। কোনো এক বিকেলে কাজের ফাঁকে ঠোঁটে না হয় বুলিয়ে নিলেন প্রিয় রঙের লিপস্টিক। আফরোজা পারভীন বললেন, চাইলে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপনও করতে পারেন। এই যেমন অনেক দিন পরা হয় না এমন পোশাক আলমারি থেকে নামিয়ে নিলেন। লিপস্টিকের চাপা রংই হয়তো আপনার পছন্দ, তবে একদিন একটু উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া থাকতেই পারে ঠোঁটে। এবার আয়নার সামনে নিজেকে দেখতে ভালো লাগবে বৈকি।
একইভাবে হালকা ফেস পাউডারের ছোঁয়া বা একটু চোখে আইলাইনারের টান এ সময় ভালো লাগার পরশ আনবেই। রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন তো বলেই দিলেন, নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলে বাড়ে আত্মবিশ্বাস।