ক্লাস, বই পড়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া—নিত্যদিনের এই তো রুটিন। সময় পেলে একটু-আধটু ঘোরাঘুরি, তা–ও ঢাকার ভেতরেই বেশি। সুমাইয়া কাফীর দিনমান কাটে এভাবেই। বাড়ি জামালপুর। সুমাইয়া ঢাকায় আসেন ২০১১ সালে। কলেজে ভর্তি হন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর করছেন। খুব যে সাজেন, তা নয়। সারা দিনের ব্যস্ততায় কাজল আর টিপই ভরসা। দাওয়াতে গেলে লিপস্টিক লাগান। ব্যস, সাজসজ্জা বলতে এটুকুই। চুল কখনো খোলা, কখনো বাঁধা। সালোয়ার-কামিজ আর শাড়িই পরেন বেশি। মাঝেমধ্যে জিনসে পা গলিয়ে দেন। সঙ্গে পরে নেন কুর্তা। পারলারে গিয়ে সাজা হয়নি কখনো। সেখানে নিজের পুরো লুক পাল্টে ফেলবেন, এমন চিন্তা তো মাথায়ই আসেনি। তবে এবার সাহস দেখিয়ে ফেললেন প্রথম আলোর নকশার জন্য। তিনি বললেন, ‘বিষয়টি মজার হবে বলেই নকশার এই আয়োজনে এসেছি। সাধারণত নিজেকে শাড়ি আর কামিজেই দেখি। একটু ভিন্ন উপস্থাপনায় নিজেকে তুলে ধরলে কেমন লাগে, সেটাই দেখতে চাই।’
নতুন আমি
সুমাইয়া কাফীর চেহারায় নতুনত্ব নিয়ে আসেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। সুমাইয়ার চুল বেশ লম্বা। সেই চুলে দিলেন ভলিউম লেয়ার কাট। ‘এতেই চেহারায় অনেকটা পরিবর্তন চলে এসেছে। খুব বেশি মেকআপও দিতে হয়নি’—বললেন নুজহাত। প্রথমবার মেকওভার, তাই শুরুতে খুব স্বচ্ছন্দ ছিলেন না সুমাইয়া। পোশাক নিয়েও দ্বিধা ছিল কিছুটা। চুলের স্টাইল ঠিক হওয়ার পর খুব হালকা মেকআপে ক্যামেরার সামনে যখন এলেন, তখন সুমাইয়াকে দেখা গেল পুরো ভিন্ন রূপে। ‘তখন তাঁকে খুবই স্বতঃস্ফূর্ত আর আত্মবিশ্বাসী লাগছিল।’—বলেন নুজহাত। সুমাইয়াকে দেওয়া হয়েছে স্পোর্টিং লুক। এর আগে কখনো এমন সাজে সাজেননি তিনি।
ক্যামেরার ডিসপ্লেতে নিজের ছবি দেখে বেশ অবাক সুমাইয়া। তিনি বলেন, ‘একেবারে নতুন লাগছে নিজেকে। এই নতুন আমিকে দেখে েরামাঞ্চিত। আয়োজনের শুরুতে একটু ভয় ভয় লাগছিল। তবে লাইট, ক্যােমরা, মেকআপ, স্টুিডও সব িকছুই উপভোগ করেছি। নকশার পুেরা আয়োজন শেষে আমি খুবই আনন্দিত।’
গ্রন্থনা: রয়া মুনতাসীর
‘নতুন আমি’
প্রিয় পাঠক, শুরু হলো নকশার নতুন বিভাগ ‘নতুন আমি’। এ বিভাগের মাধ্যমে আগ্রহী পাঠকদের মেকওভার করে দেওয়া হবে। খ্যাতনামা রূপবিশেষজ্ঞদের হাতে তিনি হয়ে উঠবেন ‘নতুন আমি’। এ বিভাগে ছেলে ও মেয়েরা অংশ নিতে পারবেন। ছবি ও পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর পাঠিয়ে দিন নকশায়। ই–মেইল: naksha@prothomalo.com ঠিকানা: নকশা, প্রথম আলো, ২০-২১ প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই–মেইলের সাবজেক্টে বা খামের ওপর লিখতে হবে ‘নতুন আমি’