নারকেল তেল মূলত একধরনের ফ্যাট। একে বলা হয় স্যাচুরেটেড ফ্যাট। রান্নার পাশাপাশি চুলের যত্নে নারকেল তেল ব্যবহারের কথা আমরা জানি। কিন্তু ত্বকের চর্চায়? নারকেল তেলে স্কিনকেয়ার অনেকের কাছেই নতুন ধারণা হতে পারে। কারণ এর তৈলাক্ততা। স্কিনের জন্য তৈলাক্ত কিছুই উপকারী নয়, এমন মনে করা হলেও গবেষণা কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। ত্বকে নারকেল তেল ব্যবহারে পাওয়া যায় কয়েকটি উপকারিতা। ত্বকের র্যাশ কমানো, ইউভিবি রে থেকে হওয়া ইনফ্লামেশন কমাতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়।
সাধারণ ধারণামতে, আমরা জানি নারকেল থেকে তৈরি হয় নারকেল তেল। কিন্তু নারকেল তেলে কী থাকে, যা ত্বকের জন্য উপকারী। নারকেল তেল হয় দুই রকম। একটা রিফাইন করা, আরেকটা এক্সট্রা ভার্জিন তেল। এক্সট্রা ভার্জিন তেল একেবারেই প্রাকৃতিক। এই তেলে পাওয়া যায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও পেনিফেনোলস। দুই ধরনের তেলই ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া নারকেল তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদানও থাকে।
স্কিন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের ব্যবহার সব থেকে বেশি প্রচলিত। আর ব্যবহারের নিয়মও খুব সাধারণ। অল্প পরিমাণে হাতে নিয়ে স্কিনে ম্যাসাজ করতে হয়। নারকেল তেল এমন একটি স্কিনকেয়ার পণ্য, যা সরাসরি ত্বকে ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যায়। এরপর আপনার ইচ্ছেমতো সময় পর মুখ ক্লিঞ্জার দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। তবে প্রথমবার নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট বা পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে নিতে হবে।
নারকেল তেল ত্বকের পোর কমাতে সাহায্য করে, সেনসিটিভ স্কিন মসৃণ করে। এ ছাড়া র্যাশ ও চুলকানি কমায়। তবে সেনসিটিভ ত্বকে ব্যবহারে হতে হবে সাবধান।
ড্রাই স্কিনে সব থেকে ভালো কাজ করে নারকেল তেল। স্কিন ময়েশ্চার ও হাইড্রেট করতে নারকেল তেল উপকারী।
নারকেল তেল বয়স্ক ব্যক্তিদের ত্বকের জন্যও সুফল আনবে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা ও ভাঁজ পড়া খুব স্বাভাবিক। তবে এ সমস্যা কমাতে নারকেল তেল অন্যতম সমাধান।
অনেকেই মনে করেন, তেলে পোর বন্ধ হয়ে যায় আর এতে হয় ব্রণ। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলে, ব্রণের ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে নারকেল তেল। এ ছাড়া নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণও কমায়।