কথোপকথনে জড়তা? তাহলে লেখাটি আপনার জন্যই

গেট টুগেদার, বিয়ে, পার্টি, সাক্ষাৎকার অথবা যেকোনো অনুষ্ঠান—কিছু মানুষের সমাগমের ভেতরে অনেকেই হয়ে যান একা। বিশেষ করে অন্তর্মুখী স্বভাবের হলে তো কথাই নেই! মনে মনে চিন্তা করতে থাকেন কোন টেবিলের নিচে গিয়ে পালাবেন অথবা কখন যে ঘরে ফিরে কাঁথা মুড়ি দেবেন, তবেই মিলবে স্বস্তি। অনেকে আবার ভাবেন যে অমুকের সঙ্গে গিয়ে কথা বলবেন, তবে কথাটা যে কীভাবে শুরু করবেন, সেটিই মাথায় খেলে না। মনে মনে কয়েকবার প্র্যাকটিস করেন, কাল্পনিক কথোপকথন চালিয়ে যান, কিন্তু বাস্তবে আর কথা বলা হয়ে ওঠে না। এই বিষয়ে যদি আপনার সঙ্গে মিলে যায়, তবে লেখাটি আপনার জন্যই। জেনে নিন কথোপকথন শুরুর কিছু টিপস।

শুরুতে ছোট ছোট বাক্যে নিজের আলাপচারিতা আগান

১. সাহস করে নাহয় আপনিই ‘হাই’ বলুন।

২. নিজের পরিচয় দিন।

৩. মানুষের নাম মনে রাখার ওপর গুরুত্ব দিন। নাম ভুলে গেলে জিজ্ঞেস করে নিন।

৪. যথাসময়ে আপনার সেন্স অব হিউমারের পরিচয় দিতে ভুলবেন না।

৫. সহজ ভাষায়, স্পষ্টভাবে কথা বলুন। শুরুতে ছোট ছোট বাক্যে নিজের আলাপচারিতা আগান।

৬. কথোপকথনে আপনার কৌতূহল ধরে রাখুন। আপনি যে অপরজনের বিষয়ে জানতে আগ্রহী, সেটা জানাতে কার্পণ্য করবেন না।

৭. নিজের জীবনের প্রাসঙ্গিক আর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো বলতে ভুলবেন না।

৮.  কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। একান্তই যদি ঠিক ওই মুহূর্তে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার থাকে, তাহলে অন্যকে বিনয়ের সঙ্গে থামিয়ে নিজের মতামত দিন। তারপর অন্যকে আবার কথা বলার সুযোগ করে দিন। এ ক্ষেত্রে উনি কী নিয়ে কথা বলছিলেন, সেটি মনে করিয়ে দেওয়া আপনার দায়িত্ব।

৯. আপনি যে অন্যের কথা মন দিয়ে শুনছেন, সেটি অপরজনকে বুঝতে দিন। প্রশ্ন করুন।

১০. অন্যের সঙ্গে আপনার মতের মিল ঘটবে না, এটাই স্বাভাবিক। ভিন্নমতকে সহজভাবে গ্রহণ করুন। নিজের বক্তব্য আর মতামতের পক্ষে যুক্তি দিন।

১১. আপনার মুখের ভাষা আর শরীরী ভাষা (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ) দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ।

১২. হাসুন, আই কনটাক্ট বজায় রাখুন। দেখা হলে বা বিদায়ের সময় করমর্দন, কোলাকুলি (ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে) করুন।

১৩. কথোপকথনের শুরুতে কিছু সহজ স্বতঃস্ফূর্ত আলাপ চলতে পারে। দুজনের পছন্দ, অপছন্দ, বেড়ে ওঠা বা নিদেনপক্ষে সিনেমা-সিরিজ নিয়ে চলতে পারে আলাপ।

১৪. ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় বিষয়ের দিয়ে আলাপকে এগিয়ে নিন।

১৫. আলাপের শুরুতে আর শেষে ইতিবাচকতা রাখুন।

১৬. যখন আপনি কোনো গল্প বলবেন, আগে মূল বিষয়ের ওপর ফোকাস করবেন। গল্পটি কেন প্রাসঙ্গিক, সেটি উল্লেখ করবেন।

১৭. আপনি কতটা কথা বলছেন, আর কতটুকু শুনছেন, এর ভারসাম্য রাখা জরুরি।

১৮. অপরজন কী পরেছেন, কী বলছেন, কী করেন—এই বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে পারেন।

১৯. কারও বক্তব্য যদি প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলে বা ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করে, তবে সেটিকে বাড়তে দেবেন না। অন্য প্রসঙ্গে কথা বলুন।

২০. দুজন চাইলে ভবিষ্যতে যোগাযোগ রাখার জন্য ফোন নম্বর অদল-বদল করুন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা ইনস্টাগ্রামে যুক্ত থাকুন।