শরীরের অতিরিক্ত মেদবহুলতাকে বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে এ সমস্যায় আক্রান্ত দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুনলে অবাক হবেন, এই তালিকায় সবার নিচে আছে বাংলাদেশের নাম। তালিকার ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৫।
একজন ব্যক্তি স্থুল, স্বাভাবিক, নাকি রোগা, তা নির্ধারণের একটি উপায় হচ্ছে বিএমআই পরীক্ষা। শরীরের ওজনকে (কিলোগ্রাম) উচ্চতা (মিটার) দিয়ে ভাগ করে বিএমআই বের করা যায়। ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৪ দশমিক ৯ পর্যন্ত বিএমআইকে ধরা হয় স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর। এর নিচে হলে রোগা আর ওপরে হলে স্থুলকায় হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের গড় বিএমআই ২০ দশমিক ৪, যা তালিকার সব দেশের চেয়ে কম।
প্রকাশিত তথ্য মতে, দেশের মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ স্থুলকায়, যা বিশ্বব্যাপী নির্ধারিত স্বাভাবিক গড় ১৩ দশমিক ২ শতাংশের থেকে অনেকটা কম। মহিলাদের থেকে পুরুষেরা সংখ্যায় বেশি চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী, কেননা, হিসাব অনুযায়ী যেখানে ১০০ জনে মাত্র ২ থেকে ৩ জন পুরুষ স্থুলকায়, সেখানে মহিলাদের গড় ৫ শতাংশ। শিশুদের সংখ্যা ১০০ জনে ৯ বা ১০।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এখনো দেশের বেশির ভাগ মানুষের বাস গ্রামাঞ্চলে। তাদের জীবন কর্মঠ ও খাদ্যাভ্যাস খুবই সাধারণ। প্রধান খাদ্য ভাতের সঙ্গে কম চর্বি এবং আঁশসমৃদ্ধ শাকসবজি ও মাছ খায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরা। তবে এখনো দেশের প্রায় ৯০ লাখের বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
সবচেয়ে বেশি চিকন মানুষের দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান তৃতীয়, পঞ্চম স্থানে আছে নেপাল ও শ্রীলংকা হয়েছে দশম।