দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ের দোতলা বাংলোতে সপরিবার বাস করছেন প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তাঁর এই বাড়িকে মুম্বাইয়ের অন্যতম বড় আকর্ষণ বললেও খুব একটা ভুল হবে না। ঘুরে আসা যাক এই বাড়ির অন্দরমহল থেকে
অমিতাভ বচ্চনের এই বাড়ির নাম ‘জলসা’। এই দোতলা বাংলোর দাম ধরা হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জলসায় ঢোকার আগে অমিতাভ তাঁর মা–বাবার সঙ্গে থাকতেন ‘পরীক্ষা’ নামের আরেক বাড়িতেমজার ব্যাপার হলো, অমিতাভ বচ্চন নিজে কিন্তু এই বাড়ি কেনেননি! তাহলে? উপহার পেয়েছেন। তবে একেবারে নিঃস্বার্থ উপহারও নয়। আশির দশকের অন্যতম হিট সিনেমা ‘সত্তে পে সত্তা’র পারিশ্রমিক হিসেবে তাঁকে এই বাড়ি উপহার দিয়েছিলেন সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক রমেশ সিপ্পিনব্বইয়ের দশকে দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে জলসা হারাতে বসেছিলেন ‘বিগ বি’। ২০০০ সালে ‘মোহাব্বাতে’ সিনেমার পারিশ্রমিক দিয়ে বাড়ির বন্ধক ছাড়িয়ে আনেন তিনিঅমিতাভ বচ্চনের শিল্পপ্রেম ফুটে উঠেছে জলসার প্রতিটি কোনায়। ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত জানালা, ঘরের প্রতিটি দেয়ালে ঠাঁই পেয়েছে বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্রজলসায় শুধু অমিতাভ বচ্চনের জন্য নিজস্ব একটা স্টাডি রুম আছে। যেখানে বসেই বই পড়া ও লেখালেখির কাজ করেন তিনি। শুটিং না থাকলে এই সাউন্ডপ্রুফ ঘরেই বেশির ভাগ সময় কাটান বিগ বিঅমিতাভ বচ্চনের বসার ঘরে আছে রাজকীয় সাজসজ্জা। বসার ঘরের ছাদে ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি, মেঝেতে দর্শনীয় তুর্কি পাটি, থরে থরে সাজানো আছে ফুলদানিঅমিতাভ বচ্চনের বসার ঘরে প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী মনজিত বাবার আঁকা একটি ষাঁড়ের চিত্রকর্ম আছে। আনুমানিক চার কোটি টাকা মূল্যের চিত্রকর্মটি অমিতাভ বচ্চনের শক্তির প্রতীকবসার ঘরের একটি ফুলের চিত্রকর্মের সামনে অভিষেক, ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্য বচ্চননতুন কোনো সিনেমার শুটিং কিংবা স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা করতে পরিচালকেরা আসেন অমিতাভ বচ্চনের অফিস রুমে। এই রুমে অবশ্য চিত্রকর্মের থেকে বেশি অমিতাভ বচ্চনের নিজের সিনেমার পোস্টারএ ছাড়া অমিতাভের এই বাড়িতে আছে নিজস্ব রেকর্ডিং রুম। যেখানে বসে ছোটখাটো রেকর্ডিং সারেন তিনিবিগ বির বাড়িতে একটা জিম আছে। যেখানে শুধু নিজের পরিবার নয়, মাঝেমধ্যে সিনেমার কলাকুশলীরাও আসেন নিজেদের শরীর ঝালাই করতেজলসার সামনে আছে বেশ বড় এক বাগান। এই বাগানে নাতনি আরাধ্যর সঙ্গে খেলছেন বলিউডের শাহেনশাহজলসা ছাড়াও মুম্বাই ও দিল্লিতে আরও কয়েকটি বাড়ি আছে অমিতাভের। কিন্তু এই বাড়িতেই বেশির ভাগ সময় কাটান তিনিতথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া