২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেওয়া হচ্ছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছে প্রিন্সেস ডায়ানার নামে প্রতিষ্ঠিত একটা দাতব্য সংস্থা। ন্যূনতম এক বছর কোনো মানবিক কাজ করেছেন এবং বয়স ৯-২৫ বছরের মধ্যে, এমন উদ্যমী তরুণদেরই কেবল দেওয়া হয় এই পুরস্কার। গত ১ জুলাই ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হলো এই বছরের প্রাপকদের নাম। বিশ্বের নানা দেশের উদ্যমী তরুণদের পাশাপাশি তালিকায় বাংলাদেশি আট তরুণ ‘চেঞ্জমেকার’-এর নামও আছে। পড়ুন এই আট তরুণের একজনের গল্প।
জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়ছেন আমিমুল এহসান খান। যুব নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাওয়ারনেস ৩৬০’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা শমী হাসান চৌধুরীর কাজ তাঁকে দারুণ অনুপ্রাণিত করেছিল। তাই ২০১৮ সালে যোগ দেন সংগঠনটিতে। দেশের বিভিন্ন সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় আয়োজন করেন পানি ও পয়োনিষ্কাশন-সম্পর্কিত প্রকল্প। হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা এবং পানিবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা সম্পর্কে আবালবৃদ্ধবনিতাকে সচেতন করতে শুরু করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের জন্য ব্যবস্থা করেন ঘরে বসে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বানানোর প্রশিক্ষণ। ৩০টির বেশি নারী ক্ষমতায়ন কর্মশালা এবং ওয়াস (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) প্রকল্পের আয়োজন করেছেন আমিমুল। আর এসবের মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ।
অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর মাধ্যমে ৪০টির বেশি দেশের পাঁচ শতাধিক তরুণ-তরুণীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গসমতা, পানি, পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধিতে অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আমিমুল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে আমাদের কাজের পরিসর বিস্তৃত করতে চাই। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ভূমিকা রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’