বসের আচরণ যেমনই হোক, পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন
বসের আচরণ যেমনই হোক, পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন

কড়া বসকে সামলাবেন যেভাবে

কর্মক্ষেত্রে কোনো না কোনো সময় কড়া বসের মুখোমুখি হননি, এমন চাকরিজীবী কমই আছেন। নিজের কাজ ঠিকঠাক করেও বসের মন না পাওয়া, পান থেকে চুন খসলেই কটু কথা শোনা—কড়া বসের পাল্লায় পড়লে নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়ায় এসব ঘটনা। তাই বলে চাকরি তো আর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কর্মক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনিও সামলে উঠতে পারবেন কড়া বসকে।

শান্ত ও পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন

বসের আচরণ যেমনই হোক, পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন। কথোপকথনের সময় কিংবা কর্মক্ষেত্রে কখনোই আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ অথবা কথা বলবেন না। এতে করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে। বসের বাজে ব্যবহার অনেকে স্বাভাবিকভাবে নিলেও আপনারটা নেবে না। তাই যতটা সম্ভব মার্জিত আচরণ করার চেষ্টা করুন।

বসের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন

মনে রাখবেন, আপনার বসকে আপনার থেকেও কঠিন এবং জটিল অবস্থা সামলাতে হয় নিয়মিত। নিয়মিতই তাঁর ওপর বাড়তি অনেক ধরনের চাপ থাকে। তাঁদের আচরণে পড়তে পারে সেই চাপের প্রভাব। তাই তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবার চেষ্টা করুন। তাতে হয়তো তাঁদের কড়া ব্যবহার অনেকটাই যুক্তিসংগত লাগবে।

ঠিকভাবে যোগাযোগ করুন

যোগাযোগের অভাব থেকেও বসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কী বিষয়ে কাজ করছেন, কোথায় কাজ করছেন, কীভাবে সেই কাজ সম্পন্ন করছেন—এসব ব্যাপারে বসকে অবহিত রাখুন। এতে করে বস আপনার অবস্থান ও কাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। যে বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, তা সংক্ষেপে ও স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলুন। এতে করে সময় যেমন বাঁচবে, তেমনই বসও আপনার ব্যাপারে ধারণা পাবেন।

যোগাযোগের অভাব থেকেও বসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে পারে

সঠিক সময় ও স্থান

বসের সঙ্গে কথা বলার বা যোগাযোগ করার জন্য উপযুক্ত সময় এবং স্থান নির্বাচন অতীব জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ বা সংবেদনশীল কোনো বিষয় হলে সময় নিয়ে একান্তে আলোচনা করুন। সাধারণ কোনো বিষয় হলে সামনাসামনি আলোচনা করতে পারেন। এতে করে বস আপনার বিচার-বিবেচনা সম্পর্কে সমূহ ধারণা পাবেন।

প্রতিক্রিয়া জানতে চান

আপনার কোনো কাজ বসের পছন্দ না হলে বা কটু ব্যবহার করলে কিছুক্ষণ পর সে ব্যাপারে জানতে চান। আপনার কাজে ভুলটা কোথায়, কীভাবে করলে আরও ভালোভাবে হতে পারত, জানতে চান।

সমস্যা নয়, সমাধান

কাজে আটকে গেলে সম্ভাব্য সমস্যা নিয়ে বসের মুখোমুখি হন সবাই। এতে করে সব সমস্যার সমাধান বসকেই করতে হয়। যা তাঁর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। পরিবর্তে আপনি সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে তাঁর মুখোমুখি হন। এতে করে বস আপনার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং ইতিবাচক ফলাফল খোঁজার বিষয়টি নজরে আনবেন।

বাজে ব্যবহারের হিসাব রাখুন

এত কিছুর পরও যদি বসের চক্ষুশূল হয়ে থাকেন, তবে বসের খারাপ ব্যবহারের একটি তালিকা করে রাখুন। যেখানে বসের প্রতিটি বাজে ব্যবহার কিংবা অসংগতি দিন, তারিখ, সময় অনুযায়ী নথিভুক্ত থাকবে। যা আপনাকে বসের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম