এই ১৫ সামাজিক উপদেশ জেনে রাখুন

সামাজিক জীব হিসেবে আমাদের কিছু নিয়মরীতি মেনে চলতে হয়। তাতে সামাজিক জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। উইনার স্পিরিট ১৫টি অলিখিত সামাজিক নিয়মের কথা জানিয়েছে। আপনারাও যা কাজে লাগতে পারেন। এগুলোর অনেকগুলোই আসলে ‘কমনসেন্স’। তবু চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

১. কেউ যদি আপনার ফোনকল রিসিভ না করে তবে খুব জরুরি কারণ ছাড়া তাঁকে দুবারের বেশি কল করবেন না। খুব জরুরি কারণ হলে একটা বার্তা পাঠিয়ে রাখতে পারেন। যাঁকে ফোন করছেন তিনি ঘুমিয়ে থাকতে পারেন, অসুস্থ থাকতে পারেন কিংবা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন।

২. পারতপক্ষে কারও কাছ থেকে টাকা ধার করবেন না। নিতান্তই যদি কারও থেকে টাকা ধার নেন, তবে সেটা তিনি চাওয়ার আগেই পরিশোধ করুন।

৩. যখন কেউ আপনাকে বাইরে খাওয়ান, তখন মেনু থেকে দামি খাবার অর্ডার করবেন না। আপনিও পরবর্তী সময় তাঁকে একদিন খাওয়ান।

৪. কোনো কাজই ছোট নয়। সব মানুষকে সমান চোখে দেখুন, সমানভাবে মূল্যায়ন করুন। বাসায় কাজে সহায়তাকারী, দারোয়ান, ড্রাইভার কিংবা যাঁরা আপনাকে সেবা দিচ্ছেন, তাঁদেরকেও সম্মান করুন, যেভাবে আপনি আপনার অফিসের ম্যানেজার কিংবা সিইওকে সম্মান করেন। সবার কাজই গুরুত্বপূর্ণ। বস দুই দিন অফিসে না এলেও চলে, তবে বাসার সহকারী দুই দিন কাজে না এলেই আপনি সেটা টের পান।

৫. সর্বদা আপনার আশপাশে মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন, হোক সে ছেলে বা মেয়ে, সিনিয়র কিংবা জুনিয়র। জনসাধারণের সামনে কারও সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে আপনি ছোট হবেন না।

৬. বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ট্যাক্সিতে চলাফেরা করলে সে ভাড়া দিলে পরবর্তী সময় আপনি ভাড়া দেবেন।

৭. ভিন্ন মতামতকে সম্মান করুন। মনে রাখবেন আপনার কাছে যদি কোনো কিছু ইংরেজিতে ছয় মনে হয়, আরেকজনের কাছে সেটি ইংরেজিতে নয় মনে হতেই পারে।

৮. কারও কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। তাঁর কথা আগে শেষ করতে দিন। তারপর আপনি বলুন।

৯. যদি আপনি কারও সঙ্গে মজা করেন আর অন্যজন সেটা অপছন্দ করেন, তবে পুনরায় সেই জাতীয় মজা আর কখনো করবেন না।

১০. কেউ আপনাকে সাহায্য করলে সেটা মনে রাখুন, কৃতজ্ঞ থাকুন, তাঁকে ধন্যবাদ দিন।

১১. কথা দিলে কথা রাখবেন। যেটা পারবেন না, সেটার প্রতিশ্রুতি দেবেন না।

১২. কেউ যদি আপনাকে গোপন কিছু বলে তবে সেটি আপনার মধ্যেই গোপন রাখুন। এমনকি পরের দিন যদি মানুষটির সঙ্গে আপনার শত্রুতার সম্পর্কও সৃষ্টি হয় তারপরও তাঁর গোপন কথা গোপন রাখুন।

১৩. যখনই আপনাকে কেউ তাঁর ফোনে একটি ছবি দেখান, তখন আপনি নিজে সেই ফোনের বাঁ কিংবা ডানের ছবি দেখতে যাবেন না। কারণ, ডানে বা বাঁয়ে কি ছবি আছে, তা আপনার অজানা। আর সেটি দেখার জন্য আপনার অনুমোদন নেই।

১৪. সময় খুবই মূল্যবান। এমনকি সম্পদ থেকেও। আপনি চাইলে হয়তো আরও সম্পদ উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু আরও সময় পাবেন না। তাই কাউকে অপেক্ষা করিয়ে রাখবেন না।

১৫. তুলনামূলকভাবে আপনার চেয়ে দরিদ্রদের মাঝে কখনো নিজের ধন সম্পদের বিষয়ে কথা বলবেন না। এমনকি যাঁরা নিঃসন্তান তাঁদের সামনে নিজের সন্তান নিয়ে কথা বলবেন না। মোদ্দাকথা হলো, আপনার কথা যেন আপনার নীরবতার চেয়ে শ্রেয় হয়। আপনার কথায় যেন কেউ কষ্ট না পান।