ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতা, লুটপাট হওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধার থেকে শুরু করে বাজার নিয়ন্ত্রণ, নানা কাজে যুক্ত হচ্ছেন তরুণেরা। দুজন শুনিয়েছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা
রাজিয়া খানম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। কিন্তু ১২ জুলাই বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাকে বাড়ি চলে আসতে হয়। এরপর আর প্রত্যক্ষভাবে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সুযোগ হচ্ছিল না। একধরনের অপরাধবোধে ভুগছিলাম। তখনই গ্রাফিতি করার কথা মাথায় আসে। ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল। নিজ জেলা নেত্রকোনায় বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ‘লেটস আর্ট’ নামের একটা দল গঠন করে ফেলি। সবাই ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে আঁকাআঁকির খরচ নিজেরাই বহন করি। আমার কাছে মনে হয় গ্রাফিতি হলো একটি মুক্তশিল্প। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না মেনেও নিজের ভাবনা ও বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করা যায়। ভবিষ্যতে দেশকে আমি একটা দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে দেখতে চাই। দুর্নীতি নিয়ে কোনো প্রতিবেদন হলে বাংলাদেশের নাম যেন সবার নিচে থাকে। এটাই আমার চাওয়া।
ইমতিয়াজ হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি মূলত সংসদ ভবন দেখতে গিয়েছিলাম। পরে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে এলাকাটা পরিষ্কার করার সুযোগ পাই। এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ভবন এলাকায় ভাঙচুর করে অনেকেই অনেক কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে যে কজন কাজ শুরু করেন, সেই দলে থাকতে পেরে ভালো লেগেছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ইটের টুকরা পড়ে ছিল, ময়লা জমেছিল। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করে পুরো এলাকা ঝাড়ু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় তরুণেরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছে, দেখে বেশ ভালো লেগেছে। এ প্রজন্মের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। তরুণেরাই একটি দেশ পরিবর্তন ও সংস্কার করতে পারে। তবে আমাদের আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দেশের প্রতিটি কোনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সংখ্যালঘুদের রক্ষায় দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নতি দ্রুত করা সম্ভব।