ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্রুপের সুনাম আজ বিশ্বজোড়া। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা বিমান ও টেলিযোগাযোগ থেকে শুরু করে মহাকাশযান পর্যন্ত বিস্তৃত। মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস–এর মতে, প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার রিচার্ড ব্র্যানসনের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ধনকুবের ব্র্যানসনের এই অঢেল সম্পদের পেছনে অনেকেই শুধু ভার্জিন গ্রুপের আয়কেই প্রধান নিয়ামক বলে মনে করেন। তবে বেশির ভাগের এই ধারণা তিনি গ্রহণ করতে নারাজ। তাঁর নামের আগে বিলিনিয়ার বা ধনকুবের বিশেষণ ব্যবহার করাকেও তিনি ‘অপমান’ হিসেবে ধরে নেন। এই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বলেন, ‘টাকা দিয়ে কারোর সফলতা পরিমাপ করা যায় না। অর্থ উপার্জনকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে দাঁড় করানোটা খুবই দুঃখজনক। হয়তো মার্কিন মুলুকে বিলিয়নিয়ার হওয়াটা সফলতার একটি প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু এটি আমার মনে পীড়া দেয়।’
সফলতার মানে খুঁজতে গিয়ে ব্র্যানসন বলেন, ‘আপনি যাঁদের নিয়ে কাজ করেন এবং আপনার কর্মীরা যা কিছু করে, সেসবই আপনার সফলতা।’
ব্র্যানসন নতুন কোনো উদ্যোগ চালু করার আগে নিজেকে প্রধানত দুটি প্রশ্ন করেন। তা হলো—১. আমি যা শুরু করতে চলেছি, তা কি বাকিদের চেয়ে ভালো কিছু হবে? ২. আমি যা শুরু করতে চলেছি, তা কি সত্যিই আলাদা কিছু?
আর্থিক সফলতা তিনি পেয়েছেন। তবুও ব্র্যানসন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, অর্থ উপার্জন কখনোই তাঁর মূল অনুপ্রেরণা ছিল না।
ব্র্যানসন বলেন, ‘সব সময় সুযোগ খুঁজতে থাকুন, লেগে থাকুন। এতে আপনি আনন্দ পাবেন এবং আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আমাদের জীবন একটাই। এই জীবনে যদি শুধু রোজগারের জন্য কাজ করে যান, তা হবে খুবই দুঃখজনক।
হ্যাঁ, অবশ্যই সফলতা যে আপনার কাছে ধরা দেবে, তার নিশ্চয়তা আপনাকে কেউ দেয়নি। আপনি যদি নিজের আগ্রহের পেছনে ছোটেন, আপনার যদি মেধা এবং অধ্যবসায় থাকে, তাহলে একদিন সফলতা ধরা দেবেই।
সময় এমন এক সম্পদ, যা ফুরিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। আমি চেয়েছি এমন জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে, যেখানে আমি যেভাবে সময় ব্যয় করতে চাই, সেভাবেই যেন তা করতে পারি। আমার জন্য এটিই ছিল অনুপ্রেরণা।’
সূত্র: সিএনবিসি