বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র নাউরু মূল্যবান ফসফেট সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান, জাপান, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের এই ফসফেটে নজর পড়ে। ১৯৬৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ফসফেট বিক্রি করতে থাকে নাউরু। সরকারের হাতে আসতে থাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ১৯৭৫ সালে সাত হাজার জনগণের দেশ নাউরুর সরকারি ব্যাংকে জমা হয় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!
তখন নাউরুর জনগণের মাথাপিছু আয় এত বেশি ছিল যে তাদের সামনে একমাত্র ধনী রাষ্ট্র ছিল কুয়েত। অপচয়, অতিবিলাসিতা, অদূরদর্শিতা আর দুর্নীতির কারণে একসময়ের অন্যতম ধনী এই রাষ্ট্রটির এখন করুণ দশা। অস্ট্রেলিয়ার পরামর্শে পরিচালিত হয় দেশটির অর্থনীতি, নিরাপত্তা, উচ্চশিক্ষা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দেশটির শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার বৃত্তি প্রদান করে।
নাউরু নিয়ে চমকপ্রদ ৭ তথ্য
১. নাউরু এমন একটি দেশ, যার কোনো রাজধানী নেই
২. অস্ট্রেলিয়ান ডলারই নাউরুর মুদ্রা
৩. অতি দুর্গম হওয়ায় করোনা ভাইরাস দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি
৪. নাউরু পৃথিবীর সবচেয়ে কম ভ্রমণ করা দেশ, প্রতিবছর গড়ে মাত্র ২০০ জন ভ্রমণ করেন
৫. নাউরুতে রেলপথের দৈর্ঘ্য মোট পাঁচ কিলোমিটার
৬. নাউরুর কোনো সামরিক বাহিনী নেই
৭. প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিক স্থূলতায় আক্রান্ত