মনের বাক্স
মনের বাক্স

আমার অলরাউন্ডার মায়ের গল্প

এই বিভাগে পাঠক তাঁর মনের কথা লিখে পাঠাতে পারেন। সেখান থেকে নির্বাচিত লেখা ছাপা হয় বুধবারের ক্রোড়পত্র অধুনায়। এ ছাড়া অনলাইনেও প্রকাশিত হয়। এখানে পড়ুন তেমন কয়েকটি লেখা।

আকাশের ঠিকানায় লেখা চিঠি

প্রিয়তম, জানি না কেমন আছ। হয়তো ভাবছ, আমি ভালো আছি। আসলে যেভাবে আছি, সেটাকে ভালো থাকা বলে না। জানো, এখনো তোমার কথা ভেবেই আমার দিনরাত কাটে? এখনো তোমার অপেক্ষায় থাকি। এখনো তোমার স্পর্শ অনুভব করি। তোমাকে ভুলিনি, ভুলতে পারবও না। তোমাকে ভালোবাসে এই পাগলি।

শাহারিন, বগুড়া।

অজানা প্রেম

প্রিয় হাসি, আপনি কি জানেন, কৃষ্ণচূড়া কেন রক্তবর্ণ হয়? হয়তো জানেন না। আচ্ছা সেটা কি কৃষ্ণচূড়া নিজেও জানে?

আপনি অনেক কিছুই জানেন না। আচ্ছা আপনি যে সবার চেয়ে একটু আলাদা, এটা কি জানেন? এই যে দেখুন, প্রকৃতিতে বসন্ত শেষ হয়ে গেছে। অথচ আপনাকে দেখলে মনে হয়, বসন্তের যেন সূচনা হয়েছে মাত্র। আপনি কি জানেন, আপনি কবিতার ছন্দের মতোই রহস্যময়। পড়ে আপনার পাঠোদ্ধার করা কঠিন। আপনার প্রবহমান হাসি, নিশ্চুপ দৃষ্টি, দীর্ঘশ্বাস—সবকিছুই যেন এক একটা অমর সৃষ্টি। বাকিটা জীবন আপনার মনের মতোই সুন্দর হোক।

আবিদ হোসেন, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা।

তোমাকে দেখি না অনন্তকাল

ছেলে–মেয়েরা পরিস্থিতি অনুযায়ী দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে। প্রকৃতির নিয়মেই শান্তি চুক্তির মাধ্যমে কিছু রোমান্টিক সময় ব্যয় করে। ধরুন, গোধূলিলগ্নে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ছেলেটি মেয়েটির জানুর ওপরে মাথা রেখে পরম শান্তিতে ঘুমাচ্ছে, মেয়েটি তার নরম হাত দিয়ে ছেলেটির চুলগুলো আলতো করে টেনে দিচ্ছে। মেয়েটির হাতের আলতো স্পর্শে ছেলেটির অন্তরজুড়ে আনন্দের বান ডেকেছে যেন। আহা! কী মধুর শান্তি। ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর কি পৃথিবীতে কোনো কিছু আছে?

আবার কিছুক্ষণ পরে হয়তো পুব আকাশে দেখা দেয় বিষণ্ন কালো মেঘ। মুহূর্তেই পশ্চিম আকাশে উধাও হয়ে গেল প্রেমিকা। অভাগা প্রেমিক, আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল অনন্তকাল।

তবু অবন্তীর দেখা মিলল না।

কাউসার হামিদ, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ।

আমার মা অলরাউন্ডার

আমার পুলিশ বাবা তাঁর কাজের কারণে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাই তিন ভাইবোনের বেশির ভাগ সময় মায়ের সঙ্গেই কাটত। আমার সর্বগুণান্বিত মা ছিলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক। স্কুলে নাচের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় মা হতেন আমার নাচের শিক্ষক। আবার আবৃত্তি শেখার ক্ষেত্রে তিনিই যেন সেরা। বিতর্কে যুক্তি খণ্ডনের কৌশলও আমি প্রথম তাঁর থেকেই শিখেছি। আজ বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে এসেও যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় প্রথমে মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিই। আমার মা অলরাউন্ডার। অনেক ভালোবাসি মা তোমাকে। আমরা তিন ভাইবোন আমৃত্যু তোমার আঁচলেই ঠাঁই নিতে চাই।

কারিশমা ইরিন, বন ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’