পাঠক তার সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনার সব রকম লেখা পাঠাতে পারেন মনের বাক্সে। যে কথা কখনো কাউকে বলা হয়নি, যে ভাবনা শুনতে পায়নি কেউ—এমন বিষয় নিয়েও লিখতে পারেন। আপনার লেখা নির্বাচিত হলে যত্নের সঙ্গেই ছাপা হবে মনের বাক্সে। এখানে পড়ুন কয়েকজন পাঠকের লেখা
ইন্টারনেট ছাড়া জীবন কেমন হয়, সেটা প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম। হঠাৎ করে এই কয়েক দিনে যেন ছোটবেলা ফিরে এল। অফিসের কাজ নেই, বাসায় মুঠোফোনে গুতাগুতি নেই, ফেসবুক নেই, ইউটিউব নেই—কী এক জীবন! যেন অফুরন্ত সময়। বাসায় বসে বসে খাওয়া আর গল্পগুজব ছাড়া তেমন কোনো কাজ নেই। মাঝেমধ্যে টিভি দেখেছি অবশ্য। তবে সেসবও একঘেয়ে লেগেছে। সন্তানদের সঙ্গে অনেক সময় ধরে সকালের নাশতা খেলাম, দুপুরের খাবার খেলাম, বই পড়লাম। এই সময়ে অদ্ভুতভাবে খেয়াল করলাম, আমার দুই সন্তানই অনেক বড় হয়ে গেছে। এত দিন যেন বুঝতেই পারিনি!
ঝুপ করে যেন কৈশোরের দুপুরে পুকুরে লাফ দিলাম। পুকুরে ডুবিয়ে লাল করা চোখ আব্বার ভয়ে লুকিয়ে বেড়াতাম। বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলে খেলতে যেতাম। সন্ধায় পড়তে বসতাম। রাতে খাওয়ার পরে এক ঘণ্টা টিভি দেখার দিনগুলো মনে করিয়ে দিল। আহারে সোনালি শৈশব! মাঝেমধ্যে মনে হয়, ডাকপিওন আর টেলিফোনের সেই যুগটাই মনে হয় ভালো ছিল।
আব্দুস সামাদ জোয়ার্দার, ফতেহাবাদ, চট্টগ্রাম
প্রিয়তম কাঠগোলাপ,
তুমি বলো ‘চরণে ধরিয়া কহিব প্রকাশি, গোপনে তোমারে কত ভালোবাসি।’ আর আমি বলি, চরণে নয়, হৃদয়ে কান পেতে বলো কত ভালোবাসো। ঝুম বৃষ্টি নামে আর আমি মনে করি তোমার কথা। একসঙ্গে বৃষ্টিবিলাস করতে চাই। হয়তো তুমিও আমার মতো কোনো বৃষ্টিস্নাত গোধূলি কিংবা রজনীতে আমার কথা স্মরণ করছ। আবেগপ্রবণ হয়ে বলছ, ভুলে যেয়ো না আমাকে। যাকে মনের কুঠুরিতে জায়গা দিয়েছি, তাকে কী করে ভুলে যাব বলো!
কিছু মেঘ অগোচরে, ঠিক বৃষ্টি নামার পরে শীতল হাওয়া বইছে যেন। তোমায় দেখে আমি ঘোরের মধ্যে যাচ্ছি ডুবে কোনো রূপকথার দেশে, আর আঁকছি তোমায় মনেরই ক্যানভাসে। আমার ভালোবাসা নিয়ো প্রিয়। নিজের খেয়াল রেখো। বৃষ্টিতে ভেজার অপেক্ষা আরেকটু দীর্ঘ হলো।
ইতি তোমার প্রিয়
প্রিয় আহমেদ, আমার জীবনের প্রায় প্রতিটি সফলতায় আপনি রয়েছেন। এখনো আমাদের শুরুর দিকের গল্পটা ভেবে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। ওই গল্পটাই যেন আমাদের সম্পর্কের ইতিহাস নতুন মোড়ে দাঁড় করিয়েছে, আমাদের দুজনকে একটা সুতার বাঁধনে শক্তভাবে আটকে ফেলেছে।
আমি আপনার মায়ার মোহজালে ভালোভাবেই ফেঁসে গেছি। নিজেই নিজেকে বদ্ধ করেছি আপনার বাহুডোরে। আপনার করা সাধারণ জিনিসগুলোই আমার চোখে অসাধারণ হয়ে ধরা পড়ছে। আপনার মোহে আমি প্রায় প্রতিটি মুহূর্তই বিভোর হয়ে থাকি। কখনো কি আমার হৃৎস্পন্দন শুনেছেন? শুনলে বুঝতে পারতেন, হৃদয়ের কত গভীরে আপনি আছেন। এভাবেই আপনার মোহে আচ্ছন্ন থেকে আপনাকে ভালোবেসে যেতে চাই।
আপনার প্রিয়তমা
ইরা, ঢাকা
তোমার জন্মদিন ছিল ১৬ জুলাই। জানি না তুমি প্রথম আলোর ‘মনের বাক্স’ বিভাগ পড়ো কি না, তবু তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এই জায়গা বেছে নিলাম। সামাজিক ব্যবধানের কারণে তোমার আমার মধ্যে যে দূরত্ব, তা দূর করে তোমার কাছে আসতে পারিনি। তবু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। দোয়া করি, জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে থাকুক তোমার সারাটি জীবন। জন্মদিনের মতো আনন্দে কাটুক প্রতিটি দিন। শুভ জন্মদিন।
মাসুদ রানা, রংপুর