কোথাও একসময় শিশু ও অবিবাহিত মেয়েদেরই কেবল চুইংগাম খাওয়ার অনুমতি ছিল। কোনো দেশে আবার এখনো চুইংগাম নিষিদ্ধ। চুইংগাম নিয়ে এমনই মজার ১০টি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১. প্রায় ৯ হাজার বছর আগে উত্তর ইউরোপের অধিবাসীরা বার্চগাছের বাকলের জমে যাওয়া রস চিবাত। স্বাদ আস্বাদনের পাশাপাশি সম্ভবত দাঁতের ব্যথা উপশমের ওষুধ হিসেবে এটি করত তারা। এটিকেই বলা যায় চুইংগামের আদি পিতা।
২. নৃবিজ্ঞানী জেনিফার পি ম্যাথুসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রাচীন মায়া ও আজটেক সভ্যতার লোকজন পিপাসা ও ক্ষুধা নিবারণের জন্য সফেদাগাছ থেকে প্রাপ্ত চিকল নামে একধরনের আঠালো পদার্থ চিবাত। তবে তা শিশু ও অবিবাহিত মেয়েরা কেবল প্রকাশ্যে খেতে পারত। বিবাহিত, বিধবা ও পুরুষদের গোপনে খেতে হতো।
৩. ১৮৪০-এর দশকে শুরু হয় চুইংগামের বাণিজ্যিক উৎপাদন।
৪. মার্কিন পপতারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের চুইংগাম-প্রেম বিশ্বজুড়ে বিদিত। একটি চুইংগাম তিনি কিছুক্ষণ মুখে রেখেছিলেন। পরে সেটি বিক্রি হয় ১৪ হাজার মার্কিন ডলারে।
৫. সিঙ্গাপুরে চুইংগাম খাওয়া আইনত নিষিদ্ধ। ১৯৯২ সালে দেশটির সরকার চুইংগাম নিষিদ্ধ করে। সেখানে চুইংগাম চিবানো অবস্থায় কেউ ধরা পড়লে ৬ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়।
৬. গ্লোবাল টিজিআই (টার্গেট গ্রুপ ইনডেক্স) জরিপ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি চুইংগাম খেয়ে থাকে ইরানের মানুষ। সে দেশের ৮২ শতাংশ মানুষ চুইংগাম খায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব, ৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ শতাংশ মানুষ নিয়মিত চুইংগাম চিবিয়ে থাকে।
৭. বলা হয়, চুইংগাম চিবাতে চিবাতে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে না, চোখে পানি আসে না। তবে অনেকেই এটিকে ‘মেডিকেল মিথ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
৮. চুইংগাম চিবালে ঘণ্টায় ১১ ক্যালরি খরচ হয়।
৯. যুক্তরাষ্ট্রে একজন মানুষ বছরে গড়ে প্রায় ৩০০ চুইংগাম খেয়ে থাকে।
১০. চুইংগাম যেমন অনেকের পছন্দের জিনিস, কারও কাছে আবার খুবই অপছন্দের। এমনকি কারও কারও চুইংগামের প্রতি একধরনের ভীতিও কাজ করে। এই ‘চুইংগাম-ভীতি’কে বলা হয় ‘চিকলফোবিয়া’।
সূত্র: বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস, নিউট্রিশন ফ্যাক্টস ও সিবিএস নিউজ