স্কুলভীতি দূর করা জরুরি

‘সুযোগ পেলে লেখাপড়ার যে নিয়ম বদলে দিতাম’ — এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করেছিলাম আমরা। পড়ুন নির্বাচিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে একটি।

স্কুলের পড়লেখা হতে হবে আনন্দময়
ছবি: প্রথম আলো

স্কুলপড়ুয়া কোনো শিক্ষার্থীকে যদি প্রশ্ন করেন, তোমার স্বপ্ন কী অথবা তুমি কী হতে চাও? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেউ বলবে আমি ডাক্তার হব, কেউ বলবে আমি ইঞ্জিনিয়ার হব। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নের কথাও হয়তো বলবে কেউ কেউ। ‘ভালো মানুষ হব’—এমন উত্তর বোধ হয় আপনি পাবেন না।

আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যা অনেকটাই অনুকরণপ্রিয়। এই ধ্যানধারণা থেকে বের হয়ে নতুন সমাজ গঠন করতে হলে শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হতে হবে জ্ঞান অর্জন, যা বাস্তব জীবনে প্রয়োগের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারবে। নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারবে। এখনকার শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসন গ্রহণ করবে। তাই এখন থেকেই তাদের ভালো মানুষ হওয়ার চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষানীতি থেকে বের হয়ে আসা, প্রয়োজন নৈতিকতা, মানবিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া। কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোও জরুরি।

অনেক শিক্ষার্থী ইদানীং স্কুলে যেতে চায় না। কারণ পড়ালেখার প্রতি তাদের মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করে। এই ভয় দূর করা খুব জরুরি। সেই লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহে একদিন স্কুলের লাইব্রেরিতে বসার একটা অভ্যাস গড়ে তোলা যায়। এর মাধ্যমে আমরা হয়তো কিছু বইপ্রেমী মানুষ পাব। শিক্ষাসফর বা স্কুলে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমগুলোকেও আরও বেশি উৎসাহ দেওয়া দরকার। শিক্ষকেরা যেন শিক্ষার্থীদের কাছে নির্ভরতার জায়গা হয়ে ওঠেন, তা নিশ্চিত করতে পারলেও স্কুলভীতি কমবে।

ইসতিয়াক জিয়ন, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সুযোগ পেলে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষানীতি থেকে বেরিয়ে এসে এমন একটা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতাম, যেখানে আনন্দের সঙ্গে শেখাটাই মুখ্য হবে।