১. একটি অ্যাথলেট পরিবারে তাঁর জন্ম। মা ছিলেন হ্যান্ডবল খেলোয়াড়। নব্বইয়ের দশকে ফার্স্ট ডিভিশনে খেলতেন তিনি। বাবাও ছিলেন পেশাদার ফুটবলার। স্থানীয় একটি ফুটবল দলে খেলতেন। পালিত ভাই কেম্বো একোকোও পেশাদার ফুটবলার। তুরস্কের বুরসাপুর দলে খেলেন। একই পথে হাঁটছেন ছোট ভাই ইথান। বার্সেলোনার ফুটবলার তৈরির একাডেমি ‘লা মাসিয়া’র পরিচর্যায় বেড়ে উঠছেন তিনি।
২. এই সেদিনও তাঁর ‘আইডল’ ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর শোবার ঘরের দেয়ালজুড়ে ছিল পর্তুগিজ তারকার পোস্টার। অথচ পরিশ্রম আর প্রতিভার অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে তিনিই এখন অজস্র তরুণের ‘আইডল’। হালে নেইমার, মেসি, রোনালদোদের সঙ্গে উচ্চারিত হয় তাঁর নাম।
৩. চাইলে আলজেরিয়া কিংবা ক্যামেরুনের হয়েও খেলতে পারতেন তিনি। তাঁর মায়ের জন্মস্থান আলজেরিয়া আর বাবার ক্যামেরুন। এই দুটো দেশের নাগরিকত্বই তাঁর রয়েছে।
৪. মানুষ হিসেবেও তিনি খুব মানবিক। গত বিশ্বকাপের পুরো উপার্জনই (প্রায় চার লাখ ইউরো) তিনি দান করে দেন প্রিমিয়ার্স ডি কর্ডে নামক একটি দাতব্য সংস্থাকে। সংস্থাটি প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ শিশুদের নিয়ে কাজ করে।
৫. এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেঝেন কার কথা বলছি? তিনি ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। গতকাল শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। দলের ৩–১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন। গত বিশ্বকাপের নকআউট পর্বেও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে। ফাইনালেও গোল করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। এত অল্প বয়সে আর মাত্র একজনই গড়েছিলেন এমন কীর্তি—ফুটবল–সম্রাট পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেন এই ফুটবল–জাদুকর। এর ৫৬ বছর পর সবচেয়ে কম বয়সী দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে এই অনন্য রেকর্ডে ভাগ বসান এমবাপ্পে।
সূত্র: ডিসকভার ওয়াক্স, এফসিবার্সেলোনা ও কিডস ডট কিডল ডটকম