রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব ২০২৩’। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে তাঁদের ভাবনা জানিয়েছেন। এখানে পড়ুন ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য দাতুক সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসির–এর বক্তব্য।
ইউসিএসআই মালয়েশিয়ার একটি শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর আমরা বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু করেছি। ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের অবস্থান ৩০০-এর মধ্যে, যা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম। স্বনামধন্য দেশি-বিদেশি শিক্ষক, যুগোপযোগী একাডেমিক প্রোগ্রাম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব ও লাইব্রেরি, আধুনিক ক্লাসরুম, একাডেমিক সুযোগ-সুবিধা—এসবই আমাদের শক্তির জায়গা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্নাতকের পর অ্যাক্সেনচার, সিটি ব্যাংক, ডিএইচএল, আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং, এইচএসবিসি, নেসলে, স্যামসাং, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতো শতাধিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে সফলতার সঙ্গে ক্যারিয়ার গড়ছেন। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠানে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ করছে, সেখানেও অগ্রাধিকার পাবেন।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে আমরা অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দিই। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিই। শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, লাইব্রেরি ও গবেষণার সূচক উন্নয়নে কাজ করি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যেন চাকরি পেতে সুবিধা হয়, সে জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখি।
কিউএস র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইউসিএসআই অন্যতম। এশিয়ায় ৭২তম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৬তম। আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা–সম্পর্কিত সেমিনার ও কর্মশালা।
নানা পরিকল্পনা
আমাদের ক্যাম্পাসে পাঠদানের জন্য আধুনিক ক্লাসরুমের পাশাপাশি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি আছে। বাংলাদেশে ক্যাম্পাসটা এখনো যেহেতু নতুন, পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হলে আমরা নানা ক্লাব ও সংগঠন গড়তে উদ্যোগ নেব। শিক্ষার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য আমাদের ক্যাম্পাসে আছে বিভিন্ন ইনডোর গেম খেলার ব্যবস্থা। আরেকটি বড় ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে বাংলাদেশ ক্যাম্পাস থেকেই অনলাইনে মালয়েশিয়ান ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি ও ল্যাব–সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ইউসিএসআই মালয়েশিয়া ক্যাম্পাস থেকে পড়ালেখা শেষে অ্যালামনাইরা বিশ্বের নানা প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন। বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে ও সহায়তা করতে তাঁরাও ভূমিকা রাখবেন। অনলাইনে বিভিন্ন সেশন ও সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা আমাদের আছে।
ইউসিএসআই মালয়েশিয়ার গবেষণা কার্যক্রমের খ্যাতি আছে সারা বিশ্বে। শিগগিরই মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের সঙ্গে যৌথভাবে আধুনিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনাও প্রক্রিয়াধীন।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নেতৃত্বে আছেন মালয়েশিয়ান শিক্ষাবিদেরা। পাঠদানের জন্য আমাদের শিক্ষক পর্ষদে শিগগিরই মালয়েশিয়ার শিক্ষকেরা যোগ দেবেন। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের স্প্রিং সেশন থেকেই আমরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ২৪টি প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হলে তা আমাদের পাঠদানব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।