এই সামাজিক নিয়মগুলোর কথা আপনাকে কেউ কখনো বলেনি

হ্যাঁ, কিছু সামাজিক নিয়মের কথা কেউ কাউকে শিখিয়ে দেন না। সেগুলো নিজেকেই বোঝাপড়ার ভেতর দিয়ে আত্মস্থ করতে হয়। এই নিয়মগুলো মানুষ হিসেবে আপনার ব্যক্তিত্বকে একটা চমৎকার আকার দেবে। উইনার স্পিরিট অনুসারে সে রকমই কয়েকটি সামাজিক নিয়মের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো।

১. একটা মানুষকে কখনো পরপর দুবারের বেশি ফোন করবেন না। ওই মানুষটাকে ফিরতি কল করার সময়, সুযোগ দিন। হতে পারে তিনি ফোন সাইলেন্ট মুডে দিয়ে কিছু একটা করছেন, ঘুমাচ্ছেন বা মিটিংয়ে অথবা অসুস্থ। আপনি যদি একটা মানুষকে ফোন করতেই থাকেন, সেটা অস্থিরতার লক্ষণ। আর অপর পক্ষ আপনার এমন আচরণে বিরক্ত হতে পারেন। আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভুল বার্তা যেতে পারে।


২. আপনি যদি কখনো টাকা ধার করেন, সময়মতো সেটা পরিশোধ করুন। সম্ভব হলে সময়ের আগেই দিয়ে দিন। মোদ্দাকথা হলো, যত দ্রুত সম্ভব ঋণ পরিশোধ করুন।


৩. আপনাকে যদি কেউ লাঞ্চ বা ডিনারে নিয়ে যান, খুব দামি কিছু অর্ডার করবেন না। তাঁকেও আপনিও আরেক দিন খাওয়ান।

আপনাকে যদি কেউ লাঞ্চ বা ডিনারে নিয়ে যান, খুব দামি কিছু অর্ডার করবেন না। তাঁকেও আপনিও আরেক দিন খাওয়ান

৪. আপনার বাড়ির কাজের মানুষ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, গাড়িচালক, পেপারওয়ালা—সবার সঙ্গে আপনি ঠিক তেমনটাই আচরণ করবেন, যেমনটা আপনি আপনার সিইওর সঙ্গে করেন। মনে রাখবেন, প্রতিটি কাজ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাছে আপনার কাজটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকের কাছে তাঁর কাজ সে রকমই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই সমস্ত কাজের গভীর আর ব্যাপক প্রভাব আছে আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক আর সামাজিক জীবনে।


৫. মানুষের মতামতের ভিন্নতাকে সম্মান করুন। ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন আচার, ভিন্ন বৈশিষ্ট্য—এই সবকিছুকেই সমানভাবে প্রাধান্য দিন। মনে রাখবেন, বৈচিত্র্যই সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যই শক্তি।


৬. কথার মাঝখানে কথা বলবেন না। আরেকজনের কথা বলা শেষ হওয়া‍ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর বলুন।

৭. কথা দিয়ে যেকোনো মূল্যে তা রাখবেন। নতুবা ক্রমে আপনি বিশ্বাস হারাবেন। আপনার ওপর ওই ব্যক্তি আর আস্থা রাখবেন না।


৮. কেউ কোনো গোপন কথা বললে সেটা গোপন রাখা আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য।


৯. মানুষের নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ বলার অভ্যাস করুন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কুণ্ঠা বোধ করবেন না।


১০. কেউ যখন তাঁর ফোনে অথবা ফেসবুকে আপনাকে কোনো ছবি বা পোস্ট দেখান, ফোন হাতে নিয়ে ডানে–বাঁয়ে সরাবেন না বা ওপরে–নিচে স্ক্রল করবেন না। মনে রাখবেন, ফোন একটা মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত অনুষঙ্গগুলোর ভেতরে অন্যতম।