যেভাবে জলাবদ্ধতার সমাধান করল বুয়েট

বুয়েট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে দ্রুতই এই পানি অপসারণ করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

মুষলধারে বৃষ্টির পর গত শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও (বুয়েট) জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে দ্রুতই এই পানি অপসারণ করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি আলাদা পাম্প বসিয়ে পানি অপসারণ করা হয়।

বুয়েটের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরপরই তাঁরা দ্রুততার সঙ্গে কীভাবে পানি অপসারণ করা যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পানিনিষ্কাশনের রাস্তাগুলোতে পাম্প বসিয়ে পর্যায়ক্রমে পানি অপসারণ করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, বৃষ্টি হলে সাধারণত বুয়েটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার পানি লালবাগ ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন চ্যানেল হয়ে নেমে যায়। কিন্তু এবার ওই চ্যানেলগুলো ভরাট হয়ে থাকায় অধিক বর্ষণে পানি সেভাবে দ্রুতগতিতে নামতে পারেনি।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি আলাদা পাম্প বসিয়ে পানি অপসারণ করা হয়

পরে উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদারের পরামর্শে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস ও ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ) মিলিতভাবে এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করে। পানি অপসারণে একাধিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করা হয়। বুয়েট কর্তৃপক্ষ সামনের দিনগুলোতে যেন এমন জলাবদ্ধতা আর না হয়, সে জন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।

এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, উপাচার্য জলাবদ্ধতার সমাধানের জন্য তিনটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প কেনার অনুমোদন দিয়েছেন। এগুলো বসালে আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।

জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরপরই দ্রুততার সঙ্গে পানি অপসারণের কাজ শুরু হয়

গত শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জলাবদ্ধ হয়ে আছে চারপাশ। ভেতরে শিশুদের জন্য খেলার স্থানেও বৃষ্টির পানি ছিল। ওই দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে ঢাকার অনেক এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সময়ে ঢাকায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে তারা।