ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সফলতার দেখা পেতে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। নতুন বছরে এই ১০ অভ্যাস আপনাকে আরও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে সহায়তা করবে।
আপনার লক্ষ্যগুলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী—এই দুভাবে নির্দিষ্ট করুন। সহজে ও সুশৃঙ্খলভাবে এগুলোকে ধাওয়া করুন। এ জন্য স্পষ্ট ও অর্জনোপযোগী লক্ষ্য ঠিক করুন।
রুটিন আপনার প্রতিটি দিন ও পুরো জীবনকেই একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে। আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে দিনের প্রথম ভাগ অর্থাৎ সকালের দিকে রাখুন, যখন আপনার শক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে। শুধু রুটিন করলে হবে না, তা ঠিকঠাক পালনে অবিচল থাকুন।
যেসব বিষয় বা কারণ আপনার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে উৎপাদনশীলতা কমায় সেগুলো চিহ্নিত করে দূর করার ব্যবস্থা করুন। এ লক্ষ্যে মুঠোফোনের অযাচিত নোটিফিকেশন বন্ধ করুন। একটি মনোযোগী ও উৎপাদনশীল কর্মস্থল তৈরি করতে দরকার হলে আপনার মুঠোফোন একপাশে সরিয়ে রাখুন।
অযথা সময় নষ্ট না করে এবং কাজ ফেলে না রেখে নিজেকে এবং নিজের কাজকে অগ্রাধিকার দিন। নিজের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক কাজকে সবার আগে গুরুত্ব দিন। এটি আপনার সময়ব্যবস্থাপনা আরও সুন্দর করবে।
আপনার মস্তিষ্ককে দ্রুত সন্তুষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখুন। এটা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন থেকে সরিয়ে দিতে পারে। দ্রুত সন্তুষ্ট না হওয়ার এই অভ্যাস আপনার আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আপনাকে আরও সুশৃঙ্খল করে গড়ে তুলবে।
বড় কাজ অনেক সময় মানুষকে পাগল করে ফেলে। এ জন্য কাজ ভেঙে ছোট করে নিতে হয়। যাতে ছোট ছোট বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে সহজে শেষ করা যায়।
ধারাবাহিকতা সফলতার চাবিকাঠি। মাঝেমধ্যে নয়, বরং আপনার রুটিন ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করুন। এটা আপনাকে সুশৃঙ্খল জীবন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এভাবে আপনি শেষমেশ সফলতার মুখ দেখতে পাবেন।
আপনার উন্নতির ওপর নজর রাখুন এবং নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ হোন। এটা আপনাকে নিজের রুটিন ঠিকঠাক করে অনুসরণ করতে আরও বেশি সুশৃঙ্খল করবে।
নিজের শারিরীক, আবেগিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। সর্বোপরি নিজের সার্বিক ভালো থাকা নিশ্চিত করুন। সুস্থ শরীর ও সুস্থ মন সারা দিন কর্মক্ষম থাকার সুপ্ত শক্তি।
নিজের ভুল ও বিপর্যয়কে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে দেখুন। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার অভ্যাস ভবিষ্যতে আপনাকে আরও সুশৃঙ্খল হতে সাহায্য করবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া