প্রতি সপ্তাহে অধুনার মনের বাক্সে লেখা পাঠান পাঠকেরা। ডাকে ও মেইলে পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কয়েকটি ছাপা হলো এখানে
তোমার উদ্দেশে
একসঙ্গে বাস করেও অনেক সময় বলা হয়ে ওঠে না যে কথা, তোমার ওপর অনেক অত্যাচার করেছি, তুমি মুখ বুজে সয়ে গেছ শুধু। আমার এত অপূ্র্ণতায়ও কখনো একবিন্দু অবহেলা করোনি। আমার নির্বুদ্ধিতায় কখনো হাসাহাসি করোনি। আমার হাজারো অপারগতা হাসিমুখে মেনে নিয়েছ। তোমাকে সে জন্য ধন্যবাদ দেব না কারণ, সঙ্গী তো এমনই হওয়ার কথা। অথচ আমি তোমার জন্য তেমনটা করতে পারিনি। হঠাৎ করে এই ভাবনা এলো মাথায়। আমার একটা তুমি থাকলেই হবে, আর কিছু চাই না।
বকুল, ঢাকা
সাত–আট বছর আগে আমার চিন্তাভাবনার নিজস্ব জগৎ একনিমেষেই পাল্টে যায়। শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক নানা রকম বিকাশের ফলে এখন ওই দিনগুলোর কথা ভাবলে বড্ড ছেলেমানুষি বলে মনে হয়। কিন্তু স্মৃতিতে ওই সময়ের আবেগ, চিন্তা, ভালোবাসা, মোহ, মায়া—সবকিছুই ছিল ধ্রুব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক বিষয়ে মানিয়ে নিতে শিখছি। কিছু ব্যাপারে সংকীর্ণ মানসিকতা ছেড়ে বেরিয়ে মুক্তমনা হয়েছি। শিখেছি, হোঁচট খেলেও আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে। জীবনে ঝুঁকি নিতে হবে। ভালোবাসতে আর ভালোবাসাতে জানতে হবে। এভাবেই জীবন সুন্দর করে গড়তে হবে।
পারিজাত রেজা
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী
গ্রামে আমার বেড়ে ওঠা। বেড়ে ওঠার সব স্মৃতি আমাকে আরও কিছুদিন প্রেরণা জোগাবে। কদিন পরই এলাকা ছেড়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে যেতে হবে, যেখানে শহরের দেয়ালে দেয়ালে অচেনা গান বাজবে। মা-বাবার জন্য মন কেমন করা রাতগুলোই কাঁদাবে, বুঝতে পারছি। আসলে ২০ বছরের স্মৃতি আঁকড়ে যে গ্রামে বড় হয়েছি, সে গাঁয়ের মায়া কাটিয়ে উঠব কীভাবে জানি না। নিজের স্বপ্নের জন্য, মা–বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে আমাকে সব মায়া ছিন্ন করতে হবে। এসব ভাবতেই বুক কেঁপে ওঠে। সব মায়া কি আদৌ কাটিয়ে ওঠা যায়? কে জানে!
সাজ্জাদ সিয়াম
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’