সারা দিনের শত ব্যস্ততা শেষে ক্লান্তিতে আমরা বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিই। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম আপনার শরীরের জন্য ইতিবাচক। আবার আপনি যে সময় ঘুমাতে যান ও ঘুম থেকে ওঠেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের মাত্রা আপনার ওজনের ওপরও প্রভাব ফেলে।
জার্নাল অব অ্যাকটিভিটি, সেডেন্টারি অ্যান্ড স্লিপ বিহেভিয়ারস-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা থেকে দারুণ এক তথ্য জানা গেছে। ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার রুটিন, মোট ঘুমানোর সময় একজন মানুষের স্বাস্থ্য ও শরীরের ওজনের ওপর প্রভাব ফেলে। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, ইতিবাচক জীবন যাপন করেন তাঁদের ঘুম ভালো হয়। তখন স্বাস্থ্যগত সংকট কম দেখা যায়। একই সঙ্গে ওজন কমানো সহজ হয়।
৪৬ বছর ও তার বেশি বয়সী প্রায় ৪ হাজার ব্যক্তির ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। দুই সপ্তাহ ধরে তাঁদের ঘুমের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে বিশেষ ধরনের মনিটর। সেখানে সংগৃহীত হতে থাকে নানা রকম তথ্য। এর মধ্যে আছে গড় রক্তচাপ, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই), পেটে চর্বির স্তর, গ্লুকোজ, ইনসুলিনের মাত্রা ও কোলেস্টেরল–সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য।
গবেষকেরা দেখছেন, অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাসের কারণে একজন মানুষের নানা ধরনের স্বাস্থ্যজনিত সংকট তৈরি হয়, যাঁরা দিনের বেলা খুব বেশি চলাফেরা বা ব্যায়াম করেন না, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
যাঁদের ঘুমে সমস্যা আছে, তাঁদের গবেষকেরা একটি সুসংবাদ দিয়েছেন। নিয়মিত ঘুম না এলে ব্যায়ামের জন্য কিছুটা সময় দিলে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে, আর তাতে ভালো ঘুম হয়।
আর যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে খারাপ ঘুমের অভ্যাস কমাতে হবে। যাঁদের ঘুমের সময়ে অনিয়ম আছে, তাঁদের কোমরের পরিধি বেড়ে যায় ও বিএমআই বেশি থাকে। যদি আপনার বয়স অনুপাতে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে চান, তবে ঘুমকে অগ্রাধিকার দিতে ভুলবেন না।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট (এশিয়া প্যাসিফিক)