সব কথা সবার জন্য নয়। আর এই সাত বিষয় বসের জন্য নয়। দ্য মিউজ ও হ্যাক স্পিরিট অনুসারে জেনে নেওয়া যাক, কোন সাতটি বিষয় ভুলেও বসের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না।
১. আপনার বিকল্প আয়ের পথ
একটা নির্দিষ্ট সময় পর প্রতিটা মানুষের বিকল্প আয়ের পথ থাকা উচিত। মহামারিকালে এই সত্য আরও বেশি করে ধরা দিয়েছে। আপনার পেশার পাশাপাশি কোনো শখ যদি হয় বাড়তি আয়ের উৎস, তাহলে তো সেরা। তবে এ কথা যেন কোনোভাবে বসের কানে না যায়। গেলেই সমস্যা। কী সমস্যা, তা নিশ্চয় আর ভেঙে বলতে হবে না!
২. আগের চাকরি কেন ছেড়েছেন, তার সত্য কারণ
অনেক কারণেই আপনি আগের চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ কারণই বর্তমান বসকে বলাটা ঠিক হবে না। যেমন আগের চাকরিতে হয়তো একটু বেশিই পরিশ্রম করতে হতো, আর সেই তুলনায় বেতনটা ছিল যৎসামান্য। কী দরকার, অযথা ঝামেলায় জড়ানোর।
৩. চাকরিটা আপনি শিগগিরই ছেড়ে দেবেন
আগে সবকিছু ঠিকঠাক হোক, নিয়োগপত্র পান, তারপর না হয় আস্তেধীরে বর্তমান বসকে জানান যে চাকরিটা আপনি ছাড়তে চলেছেন। আগেভাগে বললে কাজের চাপও বেড়ে যেতে পারে, বসের আচরণও বদলে যেতে পারে, শেষ মাসের বেতন আর অন্যান্য সুবিধা নিয়েও ঝামেলায় পড়তে পারেন।
৪. ওই সহকর্মীকে আপনার অপছন্দ
সহকর্মীদের ভেতরে কিছু মানুষকে আপনি পছন্দ করবেন, কিছু মানুষকে হয়তো পছন্দ বা অপছন্দ কিছুই করেন না। তাঁরা ‘জাস্ট সহকর্মী’। আবার কিছু মানুষ এমনও থাকেন, যাঁদের দেখলেই আপনার মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। তবে একথা আবার যেন বসের কানে না যায়! কেননা, আপনি হয়তো জানেন না যে ওই সহকর্মী বসের আপন শালির দেবর অথবা ওই সহকর্মীকে বস অকারণেই পছন্দ করেন।
৫. বসের পদটা আপনি চান
মনে মনে কে না বসের চেয়ারে বসার দিবাস্বপ্ন দেখেন। প্রায় সবাই দেখেন। তাই বলে বসের সঙ্গে কথায় কথায় আবার বলে বসবেন না যে ওই চেয়ারটা আপনাকে কতটা টানে।
৬. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক
বসের সঙ্গে কিঞ্চিৎ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা আপনার পেশাগত জীবনের জন্য ‘স্বাস্থ্যকর’, তবে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা পারিবারিক কোনো জটিলতার কথা আবার শেয়ার করতে যাবেন না। এতে জটিলতা বাড়বে বৈ কমবে না।
৭. মিথ্যা কথা বললে
কেবল বস কেন, পারতপক্ষে কাউকে কোনো অবস্থাতেই মিথ্যা বলা উচিত নয়। কিন্তু কোনো একটা মুহূর্তে কোনো কিছুর ঝোঁকে আপনি যদি বস বা অফিসের কাউকে কোনো ‘সাদা মিথ্যা’ (হোয়াইট লাই, যাতে কারও কোনো ক্ষতির শঙ্কা নেই) বলেই ফেলেন, অপরাধবোধে পড়ে সেটা আবার শোধরাতে যাবেন না। যেটা হয়ে গেছে, গেছে। কী দরকার, নিজেকে একটা ‘সন্দেহজনক’ বা ভরসা করা যায় না, এমন একজন কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করার!