ঘরের ভেতরে থাকুন অথবা বাইরে, গরমের সময় প্রতিদিনের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলুন। শরীর আর মন দুই ক্ষেত্রেই আরাম পাবেন
ইউরোপ–আমেরিকায় গরমের জন্য মানুষ অপেক্ষা করে সারা বছর। আমাদের দেশে উল্টো। শরীর, মন দুটোই কাহিল করে গরম। সঙ্গে নিত্যনতুন যোগ হচ্ছে রোগবালাই। এই গরম গরম আবহাওয়ার পেছনে আমাদেরও অবদান আছে। যাহোক সেটা আরেক বিষয়। আমরা আসি নিত্যদিনের চলাফেরায় কীভাবে একটু স্বস্তি নিয়ে আসা যায়। যাঁরা পড়ছেন তাঁরা হয়তো ভাবছেন, লেখা যত সহজ, করা তত নয়। তবে চেষ্টা করতে দোষ কী?
সকালে সময় থাকলে একটু বেশিক্ষণ, না থাকলে তাড়াহুড়ার মধ্যেই গোসল সেরে নিন। সারা রাতের ঘাম আর গরম অনুভব দূর হবে। দিন শেষে বাড়ি ফিরে আরেকবার ঝরনার নিচে দাঁড়ান।
পায়ের অংশে খুব আঁটসাঁট কিছু না পরাই ভালো। ঢিলেঢালা কাটের পোশাকে আরাম পাবেন প্রতি মুহূর্তে। শাড়ি পরলে ব্লাউজের কাটছাঁটে আরাম নিয়ে আসুন। এখন ব্লাউজ হিসেবে ক্রপ টপ কিংবা প্রজাপতির হাতা বেশ চলছে। হাতাকাটা তো আছেই। আমাদের দেশের জন্য সুতি, লিনেনের পোশাকেই আরাম। হালকা রং বেছে নিন।
ছোট ব্যাটারিচালিত পাখা এ সময় সঙ্গে রাখুন। কিছুক্ষনের জন্য হলেও স্বস্তি পাবেন। রোদচশমা ব্যবহার করুন। রোদের ঝাঁজ চোখে কম লাগলে আরাম পাবেন কিছুটা। ছাতা তো আছেই। ব্যাগে ওয়াইপস (ভেজানো টিস্যু পেপার) বা ছোট মিস্টের বোতল রাখতে পারেন। মাঝেমধ্যে মুখে পানি ছিটিয়ে দিন। ঠান্ডার পাশাপাশি আর্দ্রতা পাবেন। সানস্ক্রিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
ঘাড় খোলা রেখে চুল এখন বাঁধাই থাকুক। ভ্যাপসা গরমের দিনগুলোতে ত্বকও হয়ে পড়ে শুষ্ক। পানি বা শরবত পান করুন বেশি করে। খাবারের তালিকায় রাখুন পানি বেশি আছে এমন ফল বা সবজি। ত্বকে মানানসই ক্রিম বা লোশন লাগান প্রতিদিন অন্তত দুবার।
গরমে আরাম পেতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানতেই হবে। প্রতিদিন ধোয়া ও ইস্ত্রি করা পোশাক পরুন। ব্যায়াম করুন। মেকআপ হালকা রাখুন। হালকা গয়না পরুন।
যেখানে বিশাল আকাশই রেহাই পায় না, আমরা কোন ছার। তবে প্রতিদিন ছোট ছোট বিষয় মাথায় রাখলে আরাম পাবেন। পানির বোতলটি হাতের নাগালে রাখুন। পায়ের জুতাজোড়া যেন আরামদায়ক হয়। এই তো...পোশাকটি আরামের হলে গরমেও খুঁজে পাবেন কিছুটা শান্তি।