সবাই করে নবীনবরণ, আমরা ব্যাঙাচিবরণ

নবীনদের বরণ করে নেওয়ার চল প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ এদিক থেকে একটু আলাদা। নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠান তাঁদের কাছে পিঁপড়াবরণ, ফড়িংবরণ কিংবা ব্যাঙাচিবরণ। কী হয় এই আয়োজনে? সেই গল্পই শুনিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের নবম আবর্তনের শিক্ষার্থী মাহিবুর রহমান

নবাগত শিক্ষার্থীদের সেলফি

ব্যাঙাচিবরণ মূলত নবীনবরণেরই আরেক নাম। প্রতিবছর নবীনদের বরণ করে নেওয়ার জন্য আমরা একটি আয়োজন করি। সবাই মিলে একটা নাম ঠিক করি। এ ক্ষেত্রে ঋতুকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এবার যেহেতু বর্ষাকালের শেষে আয়োজনটি করা হয়েছে, তাই ব্যাঙাচিবরণ নামটিই জয়লাভ করেছে। সব প্রস্তুতি শেষ করে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে করতে বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসে পড়েছে। তবে এখনো ঝড়বৃষ্টির আমেজ থাকায় আমাদের নামকরণটা সার্থকতা পেয়েছে।

১২ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন। সকাল ১০টায় শুরু। আর শেষ হয় বেলা ৩টায়। নবীনবরণের নিয়ম হলো, পূর্ববর্তী ব্যাচ তার পরের ব্যাচকে বরণ করে নেবে। সেই হিসাবে আমরা নবম আবর্তনের পক্ষ থেকে চারুকলার দশম আবর্তনকে বরণ করে নিই।

সীমিত সময়ের মধ্যে আমাদের ব্যাঙাচিবরণ আয়োজন করা হয়েছে। তবে প্রস্তুতির কোনো খামতি ছিল না। প্রথমে চেয়ারম্যান স্যারের অনুমতি নিই। সেখানে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ব্যাচ থেকে টাকা ওঠানো শুরু হয়। এরপর প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার পালা। নবীন ৪৩ শিক্ষার্থীই ছিল ব্যাঙাচিবরণের প্রাণ। তাঁদের ফুল ছিটিয়ে, রং মাখিয়ে বরণ করে নিই আমরা। এরপর পালাক্রমে আসে শিক্ষকদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য, গান ও নাচ। বিশেষ করে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান আলপ্তগীন স্যারের বক্তব্য ছিল উল্লেখযোগ্য।

আয়োজক ও নবীনেরা

নবাগত শিক্ষার্থীরা পুরো আয়োজন আগ্রহভরে উপভোগ করেছেন। বলে রাখা ভালো, ব্যতিক্রমী নামের এ ধরনের আয়োজন কিন্তু এবারই প্রথম নয়। এর আগে পিঁপড়াবরণ, ফড়িংবরণ ইত্যাদি হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ব্যাঙাচিবরণ করলাম।