জেদি শিশু সামলানো বেশ কঠিন। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে শিশুকে বশে আনা সম্ভব, পাশাপাশি শিশুর সঙ্গে আপনার বন্ধন হবে আরও দৃঢ়। জেনে রাখুন ৯টি স্মার্ট কৌশল...
যখনই পারেন, আপনার শিশুকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিন। হতে পারে সেটা কোনো কিছু পছন্দমতো বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এতে তার বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া তার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করার এবং পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার ক্ষমতাও তৈরি হয়।
শিশু যেন আপনার নিয়মকানুন ও প্রত্যাশা বুঝতে পারে। আপনি নিজেই কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দ্বিধান্বিত হলে শিশুও নিজের মতো আচরণ করে যাবে।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, ‘পজিটিভ রিইনফোর্সমেন্ট’ হলো কাঙ্ক্ষিত আচরণকে উৎসাহিত করা। শিশু ভালো আচরণ করলে তাকে তা জানান, প্রশংসা করুন। আপনার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলে সে আরও বেশি সহযোগিতামূলক আচরণ করবে। শিশুর অর্জনকে সম্মান করুন, তা যত পরিমিতই হোক না কেন।
রুটিন মেনে করলে যেকোনো কাজই হয় সুসংগঠিত। কোন কাজটার পর কোনটা করতে হবে, সে সম্পর্কেও আগে থেকে ধারণা জন্মায়। কাজের রুটিন তৈরি করে দিলে শিশুদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাবেন। কারণ, সে ক্ষেত্রে শিশুরা আগে থেকেই জানতে পারে, তাদের কখন কী করতে দেওয়া হবে। এ কারণে বড়দের কথা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করতে শিশুর অনীহাও থাকে কম।
সন্তানের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে তার সঙ্গে কিছু সময় কাটান। তার আবেগগুলো সম্পর্কে জানুন। তার মতামতের প্রশংসা করুন। মনোযোগ দিয়ে সন্তানের কথা শুনলে আপনাদের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
সন্তানকে আপনি কোনো অনুরোধ করলে তাকে অনুরোধের কারণটিও বুঝিয়ে বলুন। শিশুরা যখন তাদের কোনো কাজের উদ্দেশ্য বুঝতে পারে, তখন তাদের আচরণ আরও বেশি সহযোগিতাপূর্ণ হয়। ‘আমি বলেছি, তাই তোমাকে কাজটা করতেই হবে’—এভাবে না বলে বরং সংক্ষেপে ব্যাখ্যা দিন কাজটি কেন করা প্রয়োজন।
শিশুর ভালো আচরণকে উৎসাহিত করতে তাকে পুরস্কার দিন। সেটা হতে পারে এক পাতা স্টিকার কিংবা একটা কলম। কোনো বিশেষ শর্ত পূরণের পুরস্কার হিসেবে তাকে অতিরিক্ত কোনো সুবিধাও দিতে পারেন।
শিশুরা অন্যদের দেখে বিভিন্ন গুণ রপ্ত করে। তাদের দেখিয়ে দিন যে আপনি তাদের কাছে সহযোগিতামূলক আচরণ আশা করেন। ধৈর্য ধরুন, বিনয়ী হোন, শিশুর প্রতি আচরণে যত্নবান থাকুন।
শিশু যেসব কাজ করে, সেগুলো খেলার মতো করে উপস্থাপন করুন। কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ্য করে তুলতে আপনার কল্পনাশক্তি ও উদ্ভাবনী দক্ষতা কাজে লাগান। এতে আপনার শিশু কাজকর্ম করতে গড়িমসি না করে কাজে আরও বেশি মনোযোগী হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া