শিরোনামের প্রশ্নের উত্তর যদি হয় ‘হ্যাঁ’, তাহলে আপনাকে একটা কথাই বলার আছে, ‘হবেন না!’ আপনি বরং ‘আনবদার্ড’ থাকুন। কিন্তু কথাটি বলা যত সহজ, করা ততটা নয়। তাই চট করে জেনে নিন, অন্যের কথা বা কর্মকাণ্ডে নিজেকে মানসিকভাবে সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি উপায়।
মানসিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান মানুষেরা কোনো কিছুতে চট করে প্রতিক্রিয়া দেখান না। তাঁরা নেতিবাচক এনার্জিটা তৈরি বা বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই তা প্রতিহত করতে পারেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই খুব সহজে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। চেষ্টা করুন ১ মিনিট পর প্রতিক্রিয়া দেখাতে। এই ১ মিনিটে আপনার ভেতরে চট করে জন্ম নেওয়া রাগ–ক্ষোভ অনেকটাই প্রশমিত হয়ে যাবে। শতকরা ৮০ ভাগের বেশি সম্ভাবনা, আপনি আর প্রতিক্রিয়াই দেখাবেন না।
যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে ৫ সেকেন্ড সময় নিন। এর মধ্যে সচেতনভাবে শ্বাস নিন। আর ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রশ্নকর্তার চোখে চোখ রাখুন। এবার উত্তর দিন। এতে নিজেকে সংবরণ করে নিরপেক্ষভাবে উত্তর দেওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
কেউ আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে, সমালোচনা করছে বা শত্রুতাবশত মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। এর মানে সে আদতে নিজেকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলে আদতে তার নিজের চরিত্রই বেরিয়ে পড়ছে। এটা তার ‘নেতিবাচক এনার্জি’। আপনি এমন কোনো ‘ইমোশনাল ব্যাগেজ’ বহন করবেন না, যেটা আপনার নয়।
আপনি কি জানেন, নেতিবাচকতা, শত্রুতা—এসব আপনাকে সফল হতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে? যখন কেউ সমালোচনা করে, ভালো করে ভেবে দেখুন, সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার কিছু আছে কি না। থাকলে নিজেকে শুধরে নিন। আরও সতর্ক হোন। এতে আদতে সে আপনার উপকারই করল। যে আপনাকে টিটকারি করে বলেছে, ‘তোমাকে দিয়ে তো এই কাজ হবে না’, এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। তার জন্য নয়, নিজেকে দেখিয়ে দিন যে কাজটা আপনি পারেন। কিছু মানুষ চ্যালেঞ্জিং পরিবেশের প্রভাবে নেতিবাচক এনার্জিটাকে আরও কয়েক গুণ করে নিজের জন্য ইতিবাচকতায় বদলে ফেলে। যেকোনো পরিস্থিতিতে চিন্তা করে, এখান থেকে আমি কী নিতে পারি, যার ফলে উপকৃত হব।
কথা কম বলুন। অযথা তর্ক করতে যাবেন না। নিজের অবস্থান ব্যাখা করতে যাবেন না। এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য আরও বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে; বরং নীরব থাকুন। আপনি যখন যুক্তিসহ প্রয়োজনীয় কথাটুকু বলবেন, তখন সবাই সেটাকে গুরুত্ব দেবে।
আপনি যখন নিজেকে ভালোভাবে জানবেন, চিনবেন, নিজের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়বেন, তখন অন্য কারও কথায় আপনি সহজে আহত হবেন না। কেননা, আপনি নিজেকে ভালোভাবে জানেন। আপনার আবেগ, অনুভূতিকেও সহজে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
সূত্র: মিডিয়াম