পেট্রল ও অকটেনের দাম কয়েক বছর ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। তাই তেলের খরচ কমাতে মোটরসাইকেলের চালকেরা খোঁজেন নানা উপায়। আবার দেখা যায়, মাইলেজের কথা মাথায় রেখেই অনেকে বাইকের মডেল পছন্দ করেন। কেউ কেউ বাইক কেনার পরে মিলিয়ে দেখেন, মাইলেজ নিয়ে কোম্পানির বিক্রয়কর্মীর কথা মিলছে তো!
মাইলেজ বাড়াতে বা তেলের খরচ কমাতে কী কী করা উচিত? জানতে চেয়েছিলাম যন্ত্রকৌশল প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু নাইমের কাছে। এসিআই মোটরস লিমিটেডে ইয়ামাহার সার্ভিস প্ল্যানিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কী তাঁর পরামর্শ?
১. যেকোনো মোটরযানের ক্ষেত্রেই যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর সার্ভিসিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে, স্ব স্ব বাইকের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে তাদের নির্দেশিত উপায়ে যেন সেবা গ্রহণ করা হয়। এফআই (ফুয়েল ইনজেকশন) বাইক হলে অবশ্যই এফআই পরিষ্কার করতে হবে।
২. ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে আমরা অনেক সময় গড়িমসি করি। মাইলেজ বাড়াতে এয়ার ফিল্টার নির্দেশিত সময় পরপর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। এয়ার ফিল্টারও পরিষ্কার রাখতে হবে। নাহলে ধুলাময়লা জমে ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে।
৩. শহরে ফুয়েল স্টেশনের সংখ্যা কম নয়। এ ছাড়া মফস্সলে রাস্তার মোড়ের দোকানেও পেট্রল বিক্রি করা হয়। ফিলিং স্টেশন হোক বা সাধারণ দোকান, পেট্রল ও অকটেন কেনার সময় বিশ্বস্ত জায়গা থেকেই কেনা উচিত। এতে বাইকের মাইলেজ ভালো থাকবে।
৪. বাইকের স্পার্ক প্লাগে যদি কার্বন জমে যায়, তাহলে মাইলেজ কমে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর স্পার্ক প্লাগ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে পরিবর্তন করে ফেলতে হবে।
৫. মোটরসাইকেলের চেইন লুব্রিকেশন করতে হবে স্ব স্ব বাইকের অনুমোদিত নির্দেশনা অনুযায়ী। চেইন অতিরিক্ত আঁটসাঁট হলে সেটা সমন্বয় করে নিতে হবে।
এগুলোর বাইরেও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা যেতে পারে। যেমন টায়ারের প্রেশার ঠিক রাখা, সিগন্যালে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া, হুটহাট বাইকের গতি না বাড়ানো, সঠিক নিয়ম মেনে বাইক চালানো ইত্যাদি।