চুইংগাম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছিলেন এই তারকা

চুইংগাম
চুইংগাম

চুইংগামের প্রতি অনেকেরই আসক্তি রয়েছে। মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের আসক্তিটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের। প্রতিদিন অন্তত তিন প্যাকেট চুইংগাম তাঁর লাগে। ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুরে চুইংগাম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে তিনি মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছিলেন। বেশ একটা জোরালো আন্দোলনও গড়ে তুলেছিলেন। যদিও এতে খুব একটা কাজ হয়নি। সিঙ্গাপুর সরকার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক স্কটিশ কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনেরও চুইংগামের প্রতি যারপরনাই দুর্বলতা আছে। নিজেকে শান্ত রাখার জন্য চুইংগাম তাঁর কাছে অব্যর্থ টোটকা। ডেভিড বেকহামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা শুনলে ব্যাপারটা ভালো বুঝতে পারেন। সময়টা ছিল ২০০৩ সাল। আর্সেনালের বিপক্ষে একটি ম্যাচের আগ মুহূর্তে ফার্গুসন দেখলেন, তাঁর চুইংগামের প্যাকেটটি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি ডেভিড বেকহামকে মাঠে আসার সময় চুইংগাম নিয়ে আসতে বললেন। কিন্তু বেকহাম ভুলে গেলেন এবং ম্যানইউ ২-০ ব্যবধানে ম্যাচ হেরে গেল। আর যায় কোথায়! প্রচণ্ড ক্রোধে বেকহামের একটি বুটে সজোরে লাথি বসিয়ে দিলেন এবং চোখ কটমট করে তাকিয়ে চলে গেলেন।

চুইংগাম মুখে মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স

নিজেকে স্থির রাখতে, মানসিক চাপ কমাতে, মনোযোগ ধরে রাখতে চুইংগাম দারুণ উপকারী। গবেষণা বলছে, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও চুইংগাম কার্যকর। হজমশক্তি বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস, মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণ এমনকি পেটের নানাবিধ রোগ নিরাময়ে এটি ভালো ভূমিকা রাখে। ধূমপানের মতো বদভ্যাস ত্যাগ করার জন্য অনেকেই চুইংগাম মুখে রাখতে বলেন। চুইংগাম চিবোতে চিবোতে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে না। তবে অতিরিক্ত চুইংগাম চিবোনো কিন্তু ভালো কথা নয়। খাবারে অনীহা, মাথাব্যথা, চোয়াল ব্যথার মতো জটিলতা হতে পারে।

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর, চুইংগাম দিবস। যুক্তরাষ্ট্রে এটি পালিত হয়। যাঁরা চুইংগাম চিবোতে ভালোবাসেন, তাঁরা কিন্তু দিনটি পালন করতে পারেন। নতুন ধরনের চুইংগাম কিনতে পারেন আজ। উপহার দিতে পারেন প্রিয় মানুষকে। তবে সাবধান, চুইংগাম চিবানো শেষে যেখানে-সেখানে কিন্তু ফেলবেন না।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে