এত উচ্চশিক্ষিত লইয়া আমরা কী করিব

‘সুযোগ পেলে লেখাপড়ার যে নিয়ম বদলে দিতাম’ — এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করেছিলাম আমরা। পড়ুন নির্বাচিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে একটি।

মো. শামীমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত

সবাই এই যে গণহারে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেন, এ ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার। কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই কেবল উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু পূর্ববর্তী পরীক্ষা, অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা গণহারে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাচ্ছেন। যার ফলে বিশালসংখ্যক ডিগ্রিধারী চাকরি ক্ষেত্রের অপ্রতুলতার কারণে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। এর ফল হিসেবে ডিগ্রিধারী বেকারদের মধ্যে দেখা যায় চরম হতাশা।

স্বাভাবিকভাবেই ডিগ্রিধারী এই মানুষেরা ‘ছোটখাটো’ কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। যার ফলে তাঁরা বেকার থাকেন। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে নীলফামারীর এক যুবক চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভে তাঁর শিক্ষাজীবনের সব সনদ ছিঁড়ে ফেলেন। লাইভের একপর্যায়ে তিনি বলেনে, এই সনদগুলোর জন্য তিনি ছোটখাটো কাজ করতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কাজেই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে গণহারে অনার্স-মাস্টার্স পড়ানোর ব্যবস্থার পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে কাজে লাগাতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও গুরুত্বারোপের মাধ্যমে তাঁদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা অপরিহার্য। উচ্চশিক্ষা যেমন সবার জন্য নয়, তেমনি কোনো কাজই ‘ছোট’ নয়। সুযোগ পেলে আমি গণহারে উচ্চশিক্ষা বাদ দিতাম।

পাঠক, সুযোগ পেলে আপনি লেখাপড়ার কোন নিয়মটা বদলে দিতেন? লিখে পাঠাতে পারেন এই ইমেইলে: swapno@prothomalo.com। নির্বাচিত লেখাগুলো প্রকাশিত হবে প্রথম আলোয়।