উপাচার্য বলেন

'শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই আমাদের গর্ব'

ড. এইচ এম জহিরুল হক
ড. এইচ এম জহিরুল হক
>ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য ড. এইচ এম জহিরুল হক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষত্ব ও দেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন স্বপ্ন নিয়ের সঙ্গে

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের বিশেষত্ব কী?

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম নির্ভর করে বেশ কিছু উপাদানের ওপর। প্রথমেই দরকার ভৌত অবকাঠামো। আমাদের ধানমন্ডিতে দুটো ভবন, পাশাপাশি মোহাম্মদপুরে ২৭ বিঘা জমির ওপর বিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাস আছে, সেখানে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২-৩ বছরের মধ্যে পুরোপুরি ক্যাম্পাস স্থানান্তর করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। দ্বিতীয়ত, দরকার শিক্ষার্থী। শুরু থেকেই একটা সুন্দর ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করি। কারণ, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমরা যাকে নিচ্ছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মতো যোগ্যতা তার আছে। তৃতীয়ত, প্রয়োজন শিক্ষক। হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড, কর্নেল, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের মতো বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করা শিক্ষকেরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মধ্যে আছেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কায়সার হামিদুল হক, সলিমুল্লাহ খান, ইমরান রহমান, মুহম্মদ ইব্রাহীম। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের গর্ব। চতুর্থত, একটি উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য আরও একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, প্রতিষ্ঠানের সার্বিক শিক্ষা পরিবেশ। ইউল্যাবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও পেশাদার সম্পর্ক বিরাজমান, যা মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার কার্যক্রমের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গবেষণাকে ইউল্যাব কতটুকু গুরুত্ব দেয়?

আমাদের এখানে ৬টি গবেষণাকেন্দ্র আছে। এসব গবেষণাকেন্দ্রে শিক্ষকেরা প্রধানত গবেষণা করেন এবং গবেষণাকাজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো দেশের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী সমাধান দেওয়া। ইউজিসির বিগত কয়েক বছরের প্রতিবেদন অনুসারে গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দের দিক থেকে সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইউল্যাব তৃতীয় অবস্থানে আছে।

আমরা যদি দেশে আরও মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে চাই, তাহলে কী করণীয় বলে আপনি মনে করেন?

আমাদের দেশের মানুষের একটা প্রবণতা হলো, আমরা সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাস করি, মানতত্ত্বে নয়। বিভিন্ন আলোচনায়, সভায়, বিশেষজ্ঞদের কথা শুনে কখনো কখনো হতাশ হই। সবাই বলেন, আরও ১০টা বিশ্ববিদ্যালয় দরকার, ১০০টা কলেজ দরকার, আরও ১ হাজার স্কুল দরকার। আমি সংখ্যার চেয়ে মানের বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। হাজার স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেও লাভ নেই, যদি সেটা মানসম্পন্ন না হয়। আমাদের ভালো মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দরকার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দরকার। মানসম্পন্ন শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য শুধু সরকার নয়, সবারই সহযোগিতা করা উচিত।

 সাক্ষাৎকার: মো. সাইফুল্লাহ