মার্কিন লেখক ও আইনজীবী চ্যানেল মিলার ২০১৫ সালের ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি যৌন নির্যাতনের শিকার হন নিজের বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। ধর্ষক ব্রক টার্নার একই ক্যাম্পাসের সিনিয়র। এই ঘটনার পর থেকেই নাম বদলে যায় চ্যানেল মিলারের। কোর্ট, মিডিয়া—সবখানে তাঁর পরিচয় গোপন রেখে নতুন নাম দেওয়া হয় এমিলি ডো। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চ্যানেল মিলারকে বিশ্ব এমিলি ডো বলেই চিনত।
এরপর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয় চ্যানেল মিলারের আত্মজীবনী নো মাই নেইম। এই বই থেকেই বিশ্ব নতুন করে জেনেছে, ‘এমিলি ডো’ নয়, তিনি চ্যানেল মিলার। বই প্রকাশিত হওয়ার পর টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘চার বছর পর আবার আমি আমি হলাম। এখন আমি আরামে ঘুমাতে পারি। আমার অস্তিত্ব, নিরাপত্তা, শক্তি, সাহস, আমার নিজের কণ্ঠস্বর—সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি আবার জন্মেছি। আমাকে আর অন্য কারও নাম বা ভুল পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে রাখা যাবে না।’
সম্প্রতি চ্যানেল মিলার ‘গ্ল্যামার উইমেন অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি এই পুরস্কার পান। কিন্তু তখন তাঁর নাম লেখা হয়েছিল এমিলি ডো। সেবার অন্য কেউ তাঁর হয়ে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন। আর তিনি দর্শকসারিতে বসে তা দেখেছেন আর হাততালি দিয়েছেন। এ বছর সেখানে তিনি নিজের লেখা একটি কবিতা আবৃতি করেন। কবিতার নাম ‘অভিশাপ দেওয়ার সময় নেই’। এই কবিতায় তিনি নিজের ফিরে আসাকে উদ্যাপন করেছেন। আর বলেছেন, কিছুতেই জীবন শেষ হয়ে যায় না। এই কবিতা শক্তি আর অনুপ্রেরণা জোগাবে আরও শত নারীকে।
সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন ও টিন ভোগ