জাপানের শৈল্পিক বৃক্ষচর্চা বনসাই আমাদের দেশে একসময় খুব বেশি পরিচিত না হলেও এখন বেশ জনপ্রিয়। বন অর্থ অগভীর পাত্র আর সাই মানে গাছ। অর্থাৎ অগভীর পাত্রে গাছটিকে বড় করাই হলো বনসাই। বনসাইয়ের পরিচিতি বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বনসাই মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি (বিবিএস)। ঢাকার ধানমন্ডির উইমেন ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে গত ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২১তম বনসাই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এবারের প্রদর্শনীতে দেশি–বিদেশি প্রায় ২০০ প্রজাতির ৮০০ বনসাই স্থান পেয়েছে। যার মধ্যে দেশীয় প্রজাতির গাছের সংখ্যাই ছিল বেশি। তবে প্রদর্শনীতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের মূল আকর্ষণ ছিল ৩৫ বছরের পুরোনো একটি কামিনীগাছ।
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা গেল, বিলুপ্তপ্রায় দেশি গাছই বেশি স্থান পেয়েছে এ আয়োজনে। এগুলোর মধ্যে ছিল হিজল, তমাল, বঁইচি, ঘুগনি বিচি, কামিনী, বাগানবিলাস, ৮–৯ রকমের বট, পাঁকুড়, তেঁতুল, অর্জুন, কতবেল, শ্যাওড়া, যজ্ঞ ডুমুর ইত্যাদি। আর ফুল গাছের প্রজাতি ছিল ১২ ধরনের। বিদেশি জাতের মধ্যে ছিল প্রেমনা, রাইটিয়া, ফাইকাস, পুকেন্টি ইত্যাদি।
বনসাই সোসাইটির প্রশিক্ষণ নিয়ে যেকোনো সদস্যই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকার বনসাইও ছিল।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বনসাই প্রশিক্ষক আলমাসুর রহমান। এ ছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মাই তোমোরি।