হাসান সয়লামেজের স্বপ্নযাত্রা

সাইকেলেই ছুটে চলেছেন এক দেশ থেকে আরেক দেশে
সাইকেলেই ছুটে চলেছেন এক দেশ থেকে আরেক দেশে

প্রচণ্ড গরম। চারদিকে মরুর লু হাওয়া বইছে। এর মধ্যেই সরু পথটি ধরে সাইকেলে প্যাডেল চালাচ্ছেন এক তরুণ।  তাঁর চোখমুখে স্বপ্নের ঝলকানি। তিনি তুরস্কের সাংবাদিক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা হাসান সয়লামেজ। এমন স্বপ্ন নিয়েই এই মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন গোটা আফ্রিকা মহাদেশ। তিনি ৬টি দ্বীপরাষ্ট্রসহ আফ্রিকার ৫৪টি দেশ ভ্রমণ করবেন এই বাইসাইকেলে।

কেন সাইকেলে? কারণটা খুবই সাদামাটা, স্বপ্নবিলাসী এই মানুষ আফ্রিকা সম্পর্কে সব সময় নাকি নেতিবাচক কথা শুনতেন। কিন্তু বাস্তবে আফ্রিকা কেমন, দেশগুলোর মানুষেরা কেমন—নিজের চোখে তা দেখতে বেরিয়েছেন।

পাখির মতোই উড়তে চান হাসান সয়লামেজ

দুই বছর আগে মরক্কো থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। আফ্রিকার পথে পথে কারও সঙ্গে দেখা হলে, মানুষের সঙ্গে বসে হাসান কথা বলেন, খাবার খান, নাচেন, আনন্দ করেন। তারপর জানতে চান তাঁদের স্বপ্নের কথা। কেউ বলেন, ‘আমি পেশাদার ফুটবলার হতে চাই’, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হতে চাই’, ‘আমি বড় একটা পরিবার চাই’, ‘সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চাই’। স্বপ্নের ভ্রমণ সম্পর্কে হাসান বলেন, ‘অনেক মানুষের খাবারের নিশ্চয়তা নেই কিন্তু মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকে। তাঁদের স্বপ্ন দেখার মানসিকতা আমাকে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করছে। আমি আফ্রিকার মানুষগুলোর সঙ্গে কাটানো সময় সত্যিই খুব উপভোগ করছি।’

চলতি পথে মানুষের স্বপ্নের কথা শোনেন হাসান

হাসান সয়লামেজ তাঁর ভ্রমণ তালিকার ৫৪টি দেশের ওপর ৫৪ পর্বের প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করছেন। জার্নি টু দ্য ড্রিমস নামে প্রামাণ্যচিত্রগুলো ফেসবুকে তাঁর স্বীকৃত পেজে ছাড়াও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে প্রচার করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে তাঁর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রগুলো জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। তুর্কি এই সাইকেলচালকের যাত্রা কত দিনে সমাপ্ত হবে, তা সুনির্দিষ্ট নয়। যার লক্ষ্য দেশ থেকে দেশান্তরে ঘোরা, তিনি রাখবেনই বা কেন দিন-তারিখের হিসাব। চলুক না তাঁর স্বপ্নযাত্রা।

বিবিসি অবলম্বনে সামিহা আকবর খান