পাঠকের ভালোবাসার গল্প

স্বপ্ন চলে গিয়েছিল আমার শহর ছেড়ে

ভালোবাসার গল্প আহ্বান করেছিল ‘ছুটির দিনে’। বিপুল সাড়া দিয়েছেন পাঠক। কেউ লিখেছেন দুরন্ত প্রেমের গল্প, কেউবা শুনিয়েছেন দূর থেকে ভালোবেসে যাওয়ার অনুভূতি। বাছাই একটি গল্প রইল এখানে।

অনেক দিন পর পাশের বাসার তিনতলায় আলো জ্বলছে। নতুন ভাড়াটে এল বুঝি! জানালা দিয়ে উৎসুক তাকিয়ে দেখি, চশমা পরা এক জোড়া চোখও এদিকেই তাকিয়ে আছে। চট করে জানালার পর্দা সরিয়ে বসে পড়ি টেবিলে।

মোবাইলের আলোয় একেকটা সংখ্যা তৈরি করে বুঝিয়ে দিলাম মোবাইল নম্বর। ঠিক ঠিক বুঝে নিল

এক বিকেলে দেখি বাড়ির সামনের মাঠে ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে চশমা পরা ছেলেটা ক্রিকেট খেলছে। এত বড় ছেলে, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে, অদ্ভুত তো! এরপর মাঝেমধ্যেই তাকে বাচ্চাদের সঙ্গেই খেলতে দেখা যেত। সে কি জানত, পাশের বাড়ির এক মেয়ে জানালার পেছনে দাঁড়িয়ে কী মনোযোগ দিয়ে দেখে তাকে!

মডেল: উর্বি ও আহসান

একদিন আচমকা সে–ও আমাকে দেখে ফেলল। এরপর আবার চোখাচোখি! সরে গিয়ে অন্য জানালা দিয়ে দেখি বারবার ওই জানালার দিকে তাকাচ্ছে সে।

পাশের ছাদে বসে উড়ন্ত ঘুড়ি দেখতে দেখতে হয়তো ঘুড়ির সঙ্গেই উড়তাম আমি। কমলা-কালো বাজপাখির মতো দেখতে ঘুড়িটা খুব প্রিয় ছিল আমার

পরদিন ছাদে গিয়ে সামনাসামনি দেখা। দুটি বাড়ির দুটি মানুষের অদৃশ্য সংযোগ হয়তো তখনই হলো। এরপর রোজই বিকেলে ছাদে উঠতাম। সে–ও আসত ছাদে। কিন্তু কথা হতো না।

মডেল: উর্বি ও আহসান

একদিন অন্ধকার রাতে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখি জানালায় সে। মোবাইলের আলোয় একেকটা সংখ্যা তৈরি করে বুঝিয়ে দিলাম মোবাইল নম্বর। ঠিক ঠিক বুঝে নিল। এসএমএস এল একটু পরই। স্বপ্নের সঙ্গে আলাপ হলো শুরু।

শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে স্বপ্ন ঘুড়ি ওড়াত। পাশের ছাদে বসে উড়ন্ত ঘুড়ি দেখতে দেখতে হয়তো ঘুড়ির সঙ্গেই উড়তাম আমি। কমলা-কালো বাজপাখির মতো দেখতে ঘুড়িটা খুব প্রিয় ছিল আমার।

পরের শরতে স্বপ্ন চলে গিয়েছিল আমার শহর ছেড়ে। আমি আকাশে এখনো খুঁজে বেড়াই কমলা-কালো ঘুড়িটা।