ত থ্য স ত্য

স্ট্যাচু অব ইউনিটি

স্ট্যাচু অব ইউনিটি
স্ট্যাচু অব ইউনিটি

* বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য এখন স্ট্যাচু অব ইউনিটি বা ঐক্যের ভাস্কর্য। ভারতের গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত ভাস্কর্যটিকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
* এর আগে চীনের ১৫৩ মিটার উচ্চতার ‘স্প্রিং ট্যাম্পল বুদ্ধ’ ছিল সর্বোচ্চ উচ্চতার ভাস্কর্য।
* স্ট্যাচু অব ইউনিটি ভাস্কর্যে ভারতের সাবেক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের (১৮৭৫-১৯৫০) প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দেশটিতে তিনি লৌহমানব হিসেবে পরিচিত।
* স্ট্যাচু অব ইউনিটির ভাস্কর ভারতের ৯৩ বছর বয়সী শিল্পী রাম ভি সুতার।
* বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার ভাস্কর্যটি নির্মাণের জন্য সারা ভারতের মানুষদের সম্পৃক্ত করতে নানা ধরনের প্রচারণা কার্যক্রম চালানো হয়। এর মধ্যে ‘লোহা ক্যাম্পেইন’, ‘ফান্ড ফর ইউনিটি’, ‘রান ফর ইউনিটি’ উল্লেখযোগ্য। লোহা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার লাখ কেজি লোহা সংগ্রহ করা হয়।
* ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর কাজ শুরু হয়েছিল ভাস্কর্যটির। কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয় গত ৩১ অক্টোবর। এটি ছিল সরদার প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মদিন। ১ নভেম্বর থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ভাস্কর্যটি।
* ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ উচ্চতায় ১৮২ মিটার (৫৯৭ ফুট), যা প্রায় ৬০ তলা ভবনের সমান উঁচু। অতিকায় ভাস্কর্যটি তৈরিতে ১ হাজার ৭০০ টন ব্রোঞ্জ, ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন স্টিল, ১৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বিশেষ স্টিল বার এবং ২২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার ৯৮৯ কোটি রুপি।
* ভাস্কর্য নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৩ হাজার শ্রমিক এবং ৩০০ প্রকৌশলী।
* প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী ঘুরে দেখতে পারবেন।
* ভাস্কর্যটির নিচ থেকে ২৫ মিটার উঁচু বা আটতলার উঁচু সমস্থানে ৪ হাজার ৭৪৭ বর্গমিটার আয়তনের প্রদর্শনী হল ও চলচ্চিত্র কেন্দ্র আছে। যেখানে বল্লভভাই প্যাটেলের জাতীয় জীবনের কৃতিত্ব চিত্রায়ণ করা হচ্ছে।