বাড়ি-গাড়ি, স্ত্রী-সন্তান, কাঙ্ক্ষিত পেশা ও উপার্জনসহ জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকা সত্ত্বেও অনেকের মধ্যে সুখের অভাব দেখা যায়। তাহলে সুখী হওয়ার উপায় কী? বইপত্র, সাময়িকী ও অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা:
১. নিজের জন্য পরিকল্পনা
বাস্তবসম্মত কোনো লক্ষ্য স্থির করে সেটি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। সুখী হতে হলে লক্ষ্যটি অর্জন করতেই হবে, এমনটি নয়। বরং সেই প্রচেষ্টার মধ্যেই সুখ খুঁজে পাওয়া যায়।
২. ইতিবাচক সঙ্গ বাছাই
আপনি যাঁদের সঙ্গে সময় কাটান, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি যথেষ্ট ইতিবাচক না-ও হতে পারে। সুখী ও ইতিবাচক মানুষের সঙ্গ বেছে নিলে তাঁদের মানসিকতার প্রভাবে আপনার সুখী হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
৩. ব্যর্থতা অনিবার্য
ব্যর্থতায় হতাশ হবেন না এবং নিজেকে দায়ী করবেন না। বরং সেই ব্যর্থতাকে জীবন থেকে শেখার একটি অংশ হিসেবে নিন এবং এগিয়ে চলুন। জীবনে সফলতাও আসবে। অনুশোচনায় ব্যর্থতার স্থায়িত্ব বাড়ে।
৪. নিজেকে নিয়ে সুখী হোন
জীবনে যা আছে, তাকে উপেক্ষা করবেন না। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজনসহ নিজের প্রাপ্তিগুলো নিয়ে প্রতিদিন কিছুটা সময় চিন্তা করুন। এতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে, বিষণ্নতা দূর হবে।
৫. নিজেকে সময় দিন
প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। ভালো কাজের জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দিতে হবে।
৬. সুখী হওয়ার রহস্য
সুখের সঙ্গে স্বাস্থ্য, শারীরিক সুস্থতা ও স্বাস্থ্যসেবার নিবিড় সম্পর্ক আছে। স্থূলতা বা পুষ্টিহীনতা মানুষের মানোভাবের ওপর প্রভাব ফেলে। সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম ও সকালে হাঁটার মতো হাজারো উপায় বেছে নিতে পারেন।
সূত্র: আই হেলথ কেয়ার আপডেটস।