করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এতে জ্বর, শুকনা কাশি, মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মৃদু সংক্রমণে যেসব রোগী বাসায় বা আইসোলেশনে থাকবেন, তাঁদের নানা রকমের অ্যারোবিক ও ব্রিদিং এক্সারসাইজের (শ্বাস–প্রশ্বাসের ব্যায়াম) মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ফুসফুসকে কর্মক্ষম রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মৃদু সংক্রমণে ব্যায়াম
শ্লেষ্মা নিঃসরণে সমস্যা থাকলে এয়ারওয়ে ক্লিয়ারেন্স টেকনিক ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। ব্যায়ামের সময় মুখে মাস্ক পরতে হবে। এ ব্যায়ামে উপুড় হয়ে শুয়ে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে বাতাস ছাড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে ৪ সেকেন্ড ধরে বাতাস নিতে হবে, শ্বাস ধরে রাখতে হবে ৭ সেকেন্ড এবং বাতাস ছাড়তে হবে ৮ সেকেন্ড ধরে। এ ব্যায়ামে ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে বাতাস চলার পথ পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া মোবিলাইজেশন, রেসপিরেটরি এক্সারসাইজ, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ (যেমন পুশআপ) ও রিহ্যাবিলিটেশন কৌশল (যেমন বসা থেকে দাঁড়ানো, হাঁটা, কাঁধ ও পায়ের ব্যায়াম, ঘরেই সাইক্লিং ইত্যাদি) অনুসরণ করা যেতে পারে।
মাঝারি ধরনের শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ব্যায়াম
বিছানায় দুই পা সোজা রেখে চিত হয়ে আধশোয়া অবস্থায় থাকতে হবে। এরপর শ্বাস–প্রশ্বাসের ব্যায়ামের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে হবে। এ ছাড়া কনট্রোলড ব্রিদিং এক্সারসাইজসহ অন্য ব্যায়ামগুলোও করা যাবে। এই পজিশনে খুব সহজে বাতাস ফুসফুসের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। এতে রোগীরা সহজেই কাশির মাধ্যমে কফ বের করে দিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।
মডারেট গ্রেড অ্যারোবিক এক্সারসাইজ (ওয়ার্মআপ, হাঁটাহাঁটি, স্কিপিং, জগিং ইত্যাদি) প্রতিদিন ৪০ মিনিট করা হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্র সুস্থ ও সচল থাকে।
যেকোনো রোগী বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন, এমন ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (www.bpa-bd.org) বিনা মূল্যে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম চালু করেছে। যে কেউ ঘরে বসেই (https://www.facebook.com/ 936284569817648/posts/2742051972574223/) এই সেবা নিতে পারবেন।
এহসানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট, সিআরপি, সাভার, ঢাকা