শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক গল্প, অনেক কথা চালু আছে। তারই একটি ‘হার্ডিং ইফেক্ট’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবু আহমেদ তাঁর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ: জেতার কৌশল বইয়ে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, হার্ড মানে বোঝানো হয় যারা একসঙ্গে চলে। ভেড়া সাধারণত একসঙ্গে এক দিকে যায়। ‘হার্ডিং ইফেক্ট’ কথাটি শেয়ারবাজারে হয়তো সে কারণেই চালু। আবু আহমেদ তাঁর বইয়ে গবেষকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেছেন, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরাও এক দিকে যান। এটি মানবিক চরিত্রেরই একটি বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীজুড়েই এ প্রবণতা রয়েছে।
করোনা–পরবর্তী সময়ে আমাদের শেয়ারবাজারের আচরণ পর্যালোচনা করে মনে হচ্ছে ‘হার্ডিং ইফেক্ট’ চলছে এখন। প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন? কারণ, বিনিয়োগকারীরা সব একযোগে এক দিকেই ছুটছেন। এখন পাল্টা প্রশ্ন জাগতে পারে, এই এক দিকে ছোটার প্রবণতা কি খারাপ? আবু আহমেদ বলছেন, ‘হার্ডিং ইফেক্ট’ একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। সব সময় এ প্রবণতা খারাপ না। এ প্রবণতা থেকেও লাভ করা যায়। বাজার যদি নিচের দিকে থাকে তখন এ প্রবণতা অনুসরণ করে কম–বেশি সবাই লাভবান হতে পারেন। কিন্তু বাজার যখন চড়ে যায়, তখন এ প্রবণতা থেকে সবাই মুনাফার দেখা পাবেন না।
কেন হার্ডিং ইফেক্ট প্রবণতা
করোনার কারণে মার্চের পর থেকে স্বাস্থ্য খাতের প্রতিই ছিল সবার নজর। হাতপাতালে চিকিৎসা না পাওয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস প্রতিরোধে কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের অগ্রগতি কতটুকু—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে মানুষ প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আবার করোনার কারণে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত মানুষের ঘরের বাইরে চলাচল ছিল সীমিত। বন্ধ ছিল দোকানপাট–ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ জরুরি সেবার আওতার বাইরে থাকা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ‘হোম অফিসের’ মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আবার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে সব ধরনের কেনাকাটা করেছেন অনলাইনে। তাতে এ সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ঘরে ঘরে। শেয়ারবাজার চালু হওয়ার পর তাই তালিকাভুক্ত ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। ভালো ব্যবসা করেছে, এ আশায় বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী দল বেঁধে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের শেয়ারের প্রতি ঝুঁকেছেন।
এ ছাড়া তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও পরিচালকদের হাতে এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার নেই, তাদের এ আইন পরিপালনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শেয়ারবাজারে লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়। শেয়ারবাজারের ইতিহাসের টানা সর্বোচ্চ ৬৬ দিন লেনদেন বন্ধ থাকে। দীর্ঘ এই বন্ধের পর ৩১ মে থেকে শুরু হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন। এরপর থেকে বাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। সেই আগ্রহ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে ও দুই খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর বাইরে বিমা খাতের শেয়ারেরও অস্বাভাবিক উত্থান ঘটেছে। অর্থাৎ যখন যে খাতের শেয়ারের দাম বাড়ছে সে খাতেই ঝুঁকছেন বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী।
তাই কোনো একটা ঘটনা বা কারণ সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের একদিকে চলাচলের প্রবণতাকে ‘হার্ডিং ইফেক্ট’–এর সঙ্গে তুলনা করেছেন আবু আহমেদ।
বিমা খাতে কিসের টানে
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত জুলাই থেকে এ খাতের সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে। মার্চে করোনা শুরুর পর থেকে সাধারণ ছুটির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমে যায়। এতে সাধারণ বিমা দাবি বাবদ কোম্পানিগুলোকে খুব বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। আর সেটি হলে আয় বাড়বে কোম্পানিগুলোর। এ আশা থেকে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়ে যায়। এ ছাড়া বিমা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের ক্ষেত্রেও বিমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি আরোপ করায় আয় বাড়তে পারে—এ ছিল বিমা খাতের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বাজারের বড় প্রচারণা।
বাস্তবতা কী? বিমা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের। কোম্পানিটির ৩৮ টাকার শেয়ারের আড়াই মাসে প্রায় ২০০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির ফলে দাম বেড়ে ১১১ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অথচ কোম্পানিটি এপ্রিল–জুন সময়ের যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায় এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস কমেছে। আড়াই মাসে ডিএসইতে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর দাম গড়ে ৫৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। মৌলিক কোনো কারণ ছাড়া কেন বিমা খাতের এ মূল্যবৃদ্ধি?
শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘আমাদের বাজারে সবচেয়ে বেশি কাজ করে “হার্ডিং ইফেক্ট” প্রবণতা। একদল বিনিয়োগকারী দাম বাড়বে—এ গুজব ছড়িয়ে দেয় আর অন্যরা সবাই তার পেছনে দৌড়াতে থাকে। এ সুযোগে একটা গোষ্ঠী ভালো মুনাফা তুলে নিলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কারণ, তাঁরা কেন দাম বাড়ছে, বেশির ভাগ সময় তা খতিয়ে দেখেন না।’
মোহাম্মদ মুসা মনে করেন, ‘আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর তুলনায় ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী বেশি হওয়ায় এ ধরনের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর বিনিয়োগকারীরা তাঁদের মুনাফা তুলে নেন।’
হার্ডিং ইফেক্ট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবু আহমেদ তাঁর বইয়েও বলেছেন, দলে দলে ভেড়ানোর জন্য অনেক বাদ্য বাজানো হবে। হঠাৎ দেখা যাবে নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তারপর গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। অবশেষে দেখা গেল, ওই সবের অধিকাংশই মিথ্যা।
ওষুধ ও রসায়ন খাত: এগিয়ে যারা
করোনা–পরবর্তী লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, করোনায় যেসব প্রতিষ্ঠানের ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছে, যেসব কোম্পানি করোনাসংশ্লিষ্ট অন্য সামগ্রীর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল সেসব কোম্পানির শেয়ারের প্রতিই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, ৩১ মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালসের। এ সময় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশের বেশি। আর এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার ‘৩০ শতাংশ ও ২ শতাংশ’ শেয়ার ধারণ–সংক্রান্ত ৪৫ দিনের আলটিমেটাম। বিনিয়োগকারীরা ভেবেছেন, এ আলটিমেটামের কারণে কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা শেয়ার কিনবেন আর তাতে বাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে শেয়ারের দামও বাড়বে। এ আশায় অ্যাকটিভ ফাইনের মতো আরও যেসব কোম্পানি ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছে সেসব কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীরা বেশি আকৃষ্ট হয়েছে। এখন দেখার অপেক্ষা বিনিয়োগকারীদের ভাবনার সঙ্গে বাস্তবতার মিল ঘটে নাকি কানামাছি খেলায় উদ্যোক্তারা জয়ী হন।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে অ্যাকটিভ ফাইনের পরই মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা ও বীকন ফার্মা। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের দাম আড়াই মাসে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। আর বীকন ফার্মারও দাম বেড়েছে ৪১ শতাংশ। এ দুটি কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কোম্পানি দুটির ওষুধের ব্যবহার। যদিও করোনার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর কোনো ওষুধের স্বীকৃত পাওয়া যায়নি। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, এতে কোম্পানির আয় বাড়বে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, ভবিষ্যতে এসব ওষুধের কার্যকারিতা প্রমাণিত হলে তাতে এগিয়ে থাকবে কোম্পানিগুলো। আগাম এ আশা থেকে বিনিয়োগকারীরা এ দুই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন। এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের অন্যান্য কোম্পানিরও দাম বেড়েছে। গত আড়াই মাসে এ খাতের ৩২টি কোম্পানির দাম গড়ে ১৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ: ভালো ব্যবসার টানে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ খাতের কোম্পানি রয়েছে মোট ১২টি। আড়াই মাসে এই ১২ কোম্পানির গড় মূল্যবৃদ্ধির হার ২১ শতাংশের বেশি।
তার মধ্যে আড়াই মাসে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে টেলিযোগাযোগ খাতের সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস কোম্পানি লিমিটেড বা বিএসসিসিএলের। এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৬৫ শতাংশের বেশি বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে। সরকারি কোম্পানিটি সাবমেরিন কেব্ল ব্যান্ডউইডথের মূল সেবা প্রদানকারী ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া এ খাতের গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। আর তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতের ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ খাতের ১০ কোম্পানির গড় মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে প্রায় ১৮ শতাংশ করে।
করোনার কারণে এপ্রিল থেকে জুন সময়কালে মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। জরুরি সেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ‘হোম অফিস’ চালু করে। মানুষের কেনাকাটাও ছিল অনলাইননির্ভর। হোম অফিস হোক বা ঘরে বসে কেনাকাটা ইন্টারনেটের ব্যবহার লাগবেই। তাতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে, এমন আশায় বিনিয়োগকারীরা ছুটেছেন এ খাতের কোম্পানিগুলোর দিকে। তাতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির।
ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় করোনার কারণে ব্যবসা–বাণিজ্যের মন্দাভাবের কারণে যাঁদের হাতে অর্থ আছে তাঁদের একটি অংশ শেয়ারবাজারমুখী হচ্ছেন একটু বেশি মুনাফার আশায়। তাতে বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, এ বিনিয়োগ হচ্ছে কীভাবে? বিনিয়োগকারীরা ‘হার্ডিং ইফেক্টের’ মতো একই পানে ছুটছেন না তো? অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ তাঁর জেতার কৌশল বইয়ে লিখেছেন, বিনিয়োগকারীরা বেশির ভাগ সময় একই মনস্তাত্ত্বিক ভাবনায় ভোগেন। তাই জেতার কৌশল হিসেবে তিনি বলছেন, ‘দলে চললেও দল কখন ত্যাগ করতে হবে, তা জানতে হবে। একেবারে শেষ প্রান্তের খুঁটি ছুঁতে যাঁরা চেষ্টা করেন তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।’
কিছুদিন ধরে নানা কারণে বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসছে। নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন। কিছু শেয়ার নিয়ে কারসাজিও হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজার একটু একটু করে চড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো বাজারের বেশির ভাগ শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য। তারপরও নতুন যাঁরা বাজারে আসছেন তাঁদের জন্য শেয়ারবাজারের বিনিয়োগগুরুখ্যাত ওয়ারেন বাফেটের সেই পরামর্শ মনে করিয়ে দিই—শেয়ারের লাভ করতে হবে কেনাতেই। তা যদি করা না যায়, তাহলে সে শেয়ার থেকে লাভ করা কঠিন।