এবারের শীতকালে ঠান্ডার সঙ্গে সঙ্গে মাঝেমধ্যে বৃষ্টিরও দেখা মিলছে। টিপ টিপ বৃষ্টিতে রাস্তা হচ্ছে কর্দমাক্ত। শীতকালে বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকে। দেশের আবহাওয়া অনুসারে শীতকালের চেয়ে গ্রীষ্মকালে গাড়ির প্রতি অধিক যত্নশীল হতে হয়। তবে শীতে গাড়িকে নিরাপদে চালানোর জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত বলে জানান দ্য ইনস্টিটিউট অব দ্য মোটর ইন্ডাস্ট্রি (আইএমআই), যুক্তরাজ্যের সহযোগী সদস্য এবং আই ওয়ার্কসের প্রধান কার্যনির্বাহী সাইফুল ওসমান।
রেডিয়েটর পরিষ্কার রাখা
শীতকালে যেহেতু রাস্তাঘাটে প্রচুর ধুলোবালি থাকে, তাই রেডিয়েটর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে ব্লোয়ার মেশিন ব্যবহার করে হাওয়া দিয়ে রেডিয়েটর ধুলোমুক্ত রাখা যায়। রেডিয়েটরে কুল্যান্ট ব্যবহার করলে ইঞ্জিন সহজেই উষ্ণ হয়। দিনের প্রথমে গাড়ি চালু করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত। এতে ইঞ্জিন অয়েল সহজেই ইঞ্জিনে পৌঁছাতে পারে।
ব্যাটারির অবস্থা পরীক্ষা করা
গাড়ির ব্যাটারির বয়স যদি এক বছর অতিক্রম করে, সে ক্ষেত্রে শীতকালে ব্যাটারির অবস্থা পরীক্ষা করে নিতে হবে। এতে হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হওয়ার হাত থেকে মুক্তি মিলবে। এ ছাড়া গাড়ি চালানোর আগে ব্যাটারির ওয়াটার লেভেল ঠিক আছে কি না, তা–ও জেনে নিতে হবে।
গাড়ির উইন্ডশিল্ড ঝাপসা হলে
এই ঋতুতে গাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র চালানো হলে সামনের কাচ (উইন্ডশিল্ড) এবং জানালার কাচ ( উইন্ডো) ঝাপসা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে গাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সমান করে এবং ডিফগ/ওয়ার্মার বাটন ব্যবহার করে গ্লাসের ঝাপসা অবস্থা পরিবর্তন করা যায়। এ ছাড়া ওয়াইপারের ব্লেড পুরাতন হলে পরিবর্তন করে নেওয়া শ্রেয়। উইন্ডশিল্ড পরিষ্কার করার জন্য উইপার ওয়াশার ফ্লুইড ব্যবহার করতে হবে। উইপার ওয়াশার ফ্লুইড গাড়ির উইন্ডশিল্ডে স্ক্র্যাচ পড়া থেকে রক্ষা করে।
হেডলাইট এবং ফগ লাইট পরীক্ষা করা
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট সহজেই ঝাপসা হয়ে যায়। হেডলাইটের আলো যদি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে হেডলাইট বাল্ব চেক করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নিতে হবে। হেডলাইটের গ্লাস ঝাপসা হলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আধুনিক অনেক গাড়িতে এখন হেডলাইট ওয়াশার থাকে। হেডলাইটে কাদা মাটি অথবা কুয়াশার কারণে ঝাপসা হয়ে গেলে এই ডিভাইস দিয়ে সহজেই হেডলাইট পরিষ্কার করা যায়। এ ছাড়া কুয়াশায় গাড়ি চালানোর জন্য আসল ফগ লাইট ব্যবহার করা উচিত।
নিয়মিত গাড়ির সার্ভিসিং
ঝামেলাহীন গাড়ি চালানোর জন্য নিয়মিত গাড়ির সার্ভিস করানো উচিত। এতে গাড়ির ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি হঠাৎ করে বড় সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত ৩ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার পরপর গাড়ির সার্ভিসিং করা উত্তম।