সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য রাহাত হাওলাদার পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে এক নামে পরিচিত। পড়ছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে আন্তকলেজ সংগীত প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে দুবার জেলায় শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তিনি। একবার বিভাগে প্রথম ও জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। আছে নিজের একটা ব্যান্ড দলও।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় গানের হাতেখড়ি হয় রাহাত হাওলাদারের। এরপর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপনের শিশু ক্লাব নামের একটি সংগঠনের সদস্য হন। ওই সংগঠনের হয়ে শিশু রাহাত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন। এভাবে গানের সঙ্গে জড়িয়ে যান তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। এসএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ–৫। এইচএসসিতে জিপিএ–৪.৭১ পেয়ে ভর্তি হন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে।
চার বন্ধুকে নিয়ে গড়া রাহাতের ব্যান্ড। জেলার সীমানা পেরিয়ে ঢাকা, বরিশাল ও খুলনায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তাঁরা। রাহাত বলেন, ‘আমার নিজের লেখা ১২টি মৌলিক গান আছে। সুরও আমার করা।’ ব্যান্ডে গিটার ও কি–বোর্ড বাজানোর দায়িত্ব তাঁর।
নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এই তরুণ। গানের মাধ্যমে মানুষকে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে গোড়ে তোলা সংগঠন সিআরএফ নামের একটি মিউজিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তিনি। পুলিশ শিল্পী সাংস্কৃতিক সংগঠনে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাহাত আমাদের কলেজের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে। সে ভালো গান গায়। পড়াশোনায়ও ভালো। ও আমাদের কলেজের গর্ব।’
রাহাত হাওলাদার বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের গান শেখানোর জন্য একটি স্কুল করব। কারণ, অনেক শিশুর প্রতিভা আছে। শুধু পৃষ্ঠপোষকতার কারণে তাদের প্রতিভা বিকশিত হচ্ছে না। পড়াশোনা শেষে চাকরির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজে যুক্ত থাকার ইচ্ছে আছে।’