জর্ডানের রাজধানী আম্মানে গত ২১-২২ আগস্ট, ২০১৫ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘বিশ্ব তরুণ শান্তি ও নিরাপত্তা সম্মেলন’। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, জর্ডান রাজপরিবার ও বিভিন্ন সিভিল সোসাইটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এ বিশ্ব সম্মেলনে এক শতাধিক দেশের ৫০০ জনের মতো প্রতিনিধি অংশ নেন, যার অধিকাংশই ছিলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণ ও তরুণ সংগঠনের নেতারা, তরুণ শান্তি-কর্মী, সরকারি ও নীতি-নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ থেকে এ বিশ্ব সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করেন সাইফুল হক। এলাকাভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা শীর্ষক এক প্যানেল বক্তৃতায় বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে বক্তৃতা করেন তিনি।
জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স আল-হুসাইন বিন আবদুল্লাহর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা করেন। উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তৃতা করেন জর্ডানের উপপ্রধানমন্ত্রী নাসের জুডেহ, আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল কাদের মেসাহেল, জাতিসংঘের উপসহকারী মহাসচিব বাবাটুনডে অসাটিমেহিন, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার তারানকো এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের তরুণ-বিষয়ক দূত আহমাদ আলেন দাউই।
‘আম্মান ঘোষণা’গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ সম্মেলনের সমাপ্তি হয়। এ ঘোষণার মূল লক্ষ্য হলো: ১. শান্তি ও নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে তরুণদের মতামতকে প্রাধান্য দেয় ও নীতিনির্ধারণী বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ত করে। ২. তরুণদের সংগঠন, বিভিন্ন তারুণ্যনির্ভর প্ল্যাটফর্ম এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাগুলোকে স্বীকৃতি ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সহিংসতা ও উগ্রপন্থা নিরোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সম্মেলনে ‘তারুণ্য, শান্তি ও নিরাপত্তা’ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন ও পাস করার বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়।