শাওনের ঘোরাঘুরি

সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী ও স্থপতি মেহের আফরোজ শাওন। দুই সন্তান নিশাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূনকে নিয়েই চলছে তাঁর দিবানিশি। অভিনয় বা গানে নিয়মিত না হলেও সদা আলোচনায় আছেন তিনি। প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অ্যাকটিভিস্ট’ হিসেবে নানা পোস্ট দেন, ছড়িয়ে দেন সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তা। সময় পেলে শাড়ি পরে, চোখ ভরে কাজল দিয়ে, কপালের মাঝখানে টিপ এঁকে ছুটে যান এই প্রান্তর থেকে সেই প্রান্তর। আর সেই সব ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে। শাওনের ছবির ক্যাপশনগুলোও মোক্ষম। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সে রকমই কয়েকটা ছবি আর ছবির ক্যাপশন।
এই ছবি তোলা আহসান মঞ্জিলে। ছবিটির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা— ‘তার চেয়ে বরং দূরেই থেকো যেমন দূরে থাকে ছোঁয়া থেকে স্পর্শ রোদ্দুরের বুক থেকে উত্তাপ শীতলতা থেকে উষ্ণতা প্রেমের খুব গভীর ম্যাপে যেমন লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা, তেমন দূরত্বেই থেকে যেও এক ইঞ্চিতেও কভু বলতে পারবে না কেউ কতটা কাছাকাছি এসেছিলে বলে, দূরত্বের পরিমাপ দিতে পারেনি পৃথিবী।’
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
ছবিটি নুহাশপল্লীতে তোলা। লীলাবতী নামে হুমায়ূন আহমেদ আর শাওনের যে কন্যাটি কখনো দেখেনি পৃথিবীর মুখ, তার নামে রাখা হয় এই দীঘির নাম। সেই লীলাবতী দীঘির পাড়ে
মাওয়া হাইওয়েতে তোলা এই ছবির ক্যাপশনে লেখা— ‘সারাটা দিন জুড়ে তুমি আনাগোনা করেছো সেই সুরে তার রঙ লেগে আছে অবুঝের পেনসিল’
এই ছবি সিলেটের খাদিমনগরের একটি রিসোর্ট সুখতারা নেচার রিট্রিটে তোলা। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে— ‘আমার গান যে তোমার গন্ধে মিশে দিশে দিশে, ফিরে ফিরে ফেরে গুঞ্জরি। আজ হৃদয়— তোমার উদাস হয়ে পড়ছে কি ঝরি!’
এই ছবির ক্যাপশনে লেখা— ‘মেঘ বলল যাবি? অনেক দূরে গেরুয়া নদী অনেক দূরের একলা পাহাড় অনেক দূরের গহন সে বন গেলেই দেখতে পাবি, যাবি?’
এই ছবির ক্যাপশন, ‘মৌনতার সুতোয় বোনা একটি রঙিন চাদর’
‘ওগো কাশের মেয়ে— আজকে আমার চোখ জুড়ালো তোমার দেখা পেয়ে’
সোমেশ্বরী নদীর তীরে তোলা এই ছবির ক্যাপশন— ‘কবিতা করিবে আমাকে বিজন প্রেম করিবে স্বপ্ন সৃজন, স্বর্গের পরী হবে সহচরী দেবতা করিবে হৃদয় দান’
ধামরাইয়ে তোলা এই ছবি নিজের জন্মদিনে পোস্ট করেছেন শাওন। ক্যাপশনে লেখা, ‘এই মন কেমনের জন্মদিন’।
এই ছবিটি রাজধানীর বাংলাবাজারের বিউটি বোর্ডিংয়ে তোলা
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তোলা এই ছবি
এই ছবির ক্যাপশন, ‘মেঘের মধ্যে মেঘ হয়ে যাই, ঘাসের মধ্যে ঘাস বুকের মধ্যে হলুদ একটা পাতার দীর্ঘশ্বাস’